হারানো মোবাইল দিয়েই খুনির সন্ধান পেল সিআইডি

0
467

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে শ্রীবাস ঋষিদাস (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে সিআইডি।

গ্রেফতার করা হয়েছে একমাত্র হত্যাকারী সুকেশন ঋষিকে (২২)। মঙ্গলবার রাতে সুকেশন দাস হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান জানান, মা ও স্ত্রীকে গালিগালাজ করায় শ্রীবাস ঋষিদাসকে হত্যা করে তারই দোকানের কর্মচারি সুকেশন ঋষিদাস। নিহত শ্রীবাস ঋষিদাসের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এসআই মহসিন খান জানান, হত্যার পরও শ্রীবাসের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি ব্যবহৃত হচ্ছে, সেটি নজরে আসার পর সোমবার (২ নভেম্বর) বাজিতপুর উপজেলার বোর্ড বাজার এলাকা থেকে সিএনজিচালক ইমন মিয়ার কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইমন জানান মোবাইলটি ছোট ভাই রিজনের কাছ থেকে নিয়ে তিনি ব্যবহার করছেন।

পরে রিজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে এটি সে নিহত শ্রীবাসের সেলুনের কর্মচারি সুকেশন ঋষির কাছ থেকে কিনেছে। এ তথ্য পাওয়ার পর মঙ্গলবার বিকেলে বাজিতপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সুকেশন ঋষি দাসকে। তিনি বাজিতপুর ঋষি পাড়ার ভক্ত ঋষি দাসের ছেলে।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিকুর রহমানের খাসকামরায় হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন সুকেশন দাস।

জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন একটি কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে সেলুন মালিক শ্রীবাসের কাছে কিছু টাকা চান তিনি। কিন্তু শ্রীবাস টাকা না দিয়ে তাকে মা ও স্ত্রী তুলে গালাগালাজ করেন এবং মারধর করেন। এ সময় বাঁশের লাঠি দিয়ে পেছন থেকে শ্রীবাসের মাথায় আঘাত করেন সুকেশন। শ্রীবাস নিস্তেজ হয়ে পড়লে সামান্য দূরে লাশ রেখে মোবাইল সেটটি নিয়ে পালিয়ে যান সুকেশন।

গত ২৪ জানুয়ারি রাতে খুন হন নরসুন্দর শ্রীবাস। ২৫ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বাজিতপুর উপজেলার দীঘিরপাড় ইউনিয়নের ভুটঘর বালুর মাঠ থেকে শ্রীবাসের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত শ্রীবাস ঋষিদাস একই ইউনিয়নের ঋষিপাড়ার রাম প্রসাদ ঋষিদাসের ছেলে। তিনি ভুটঘর বাজারে একটি সেলুনের মালিক ছিলেন।

এ ঘটনায় ২৬ জানুয়ারি নিহতের ছোট ভাই দিবাস ঋষি বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বাজিতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ হত্যার ক্লু বের করতে না পারায় গত ৩ মার্চ মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 + 9 =