পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে মানুষের কাটা মাথা লাগবে বলে সারাদেশে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এই গুজবকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ‘ছেলে ধরা’ সন্দেহে মানুষকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটছে। এরইমধ্যে গুজব প্রতিরোধে মাঠে নেমেছে পুলিশ। এধরনের গুজবে কাউকে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ করেছে পুলিশ সদর দফতর। আর যে সদর দফতরের নির্দেশ মাফিক বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম) বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) গুজব প্রতিরোধ ও রটনাকারীদের গ্রেফতার করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাজ করছেন পুলিশের সাইবার গোয়েন্দারা এমনটিই বলেছে।
পুলিশ সদর দফতর, সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, কুচক্রীমহল সব সময় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। এই চক্রের কোনও কিছুই বিশ্বাস করা যাবে না। গুজবকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে হত্যা:
ছেলে ধরা সন্দেহে ঢাকার মোহাম্মদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। মোহাম্মাদপুরে এক নারীকে একই সন্দেহে বেদম মারধর করা হয়। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এছাড়া, লক্ষ্মীপুর জেলার দালাল বাজারে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে পুলিশে দেয় জনতা। ঘটনার আগে ওই ব্যক্তি রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ছেলে ধরা সন্দেহে মারধরের এরকম আরও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
যেভাবে গুজব ছড়ালো:
২০১৫ সালের ১ মার্চ নদীতে পশুর রক্ত ঢেলে পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন কাজের