ইমাম আলী (আ) এর দৃষ্টিতে ইবাদত হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তির সিঁড়ি এবং আল্লাহকে সাধ্যমতো চেনার আন্তরিক প্রয়াস। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহর প্রতি মানুষের কৃতজ্ঞতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডের সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হলো ইবাদত। আলী (আ) ইবাদতের আত্মা বলতে আল্লাহকে স্মরণ করাকেই বুঝিয়েছেন।বার্তা সংস্থা ইকনা: আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী ইবনে আবি তালিব(আ.) বলেছেন: إذا أحَبَّ اللّه ُ عَبدا ألهَمَهُ حُسنَ العِبادَةِ আল্লাহ যখন তার বান্দাকে ভালবাসেন তখন তার অন্তরে সুন্দরভাবে ইবাদত করার মানসিকতা ও প্রচেষ্টা দান করেন। (গুরারুল হিকাম, হাদিস-৪০৬৬)
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী (আ.) ইবাদতকে খুবই উপভোগ্য বলে মনে করেন। পার্থিব মজার সাথে যার কোন তুলনা হয় না। ইবাদতটা উৎসাহ ও উদ্দীপনাময়। তাঁর দৃষ্টিতে তিনিই সৌভাগ্যবান ইবাদতের প্রাণবায়ু যাকে স্নেহের পরশ বুলিয়ে যায়। যিনি তাঁর সকল প্রকার অভাব-অভিযোগ, চাওয়া-পাওয়ায় আল্লাহর শরণাপন্ন হন।তিনিই সৌভাগ্যবান যিনি আলোকিত ভুবনে প্রবেশ করেন এবং সকল প্রকার দুঃখ-বেদনা থেকে যিনি মুক্ত, সেইসাথে যিনি পরিপূর্ণ স্বচ্ছ, নির্মল ও আন্তরিক।
ইমাম আলী(আ.) বলেছেন: কি সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহ প্রদত্ত কর্তব্যগুলো পালন করে। আল্লাহ তার সাহায্যকারী। আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের ফলে তাঁর কষ্ট ও অশান্তিগুলো যাঁতাকলের মতো পিষে গুঁড়ো হয়ে যায়। সে রাতের বেলা নিদ্রা থেকে দূরে থাকেন এবং রাত জাগে। এরা হলো সেই দলভুক্ত যারা প্রত্যাবর্তন দিবসের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন এবং যাদের চোখ থেকে ঘুম অপহৃত হয়েছে, যারা নিজেদের ঘুমের ঘর থেকে উঠে আল্লাহর জিকিরে মশগুল হয়ে পড়েন। এরা আল্লাহর দলভুক্ত এবং পরিত্রাণপ্রাপ্ত।