স্টাফ রিপোর্টার: কেরানীগঞ্জে ডিজিটাল ক্যাসিনোর চৌকশ জুয়ারী মো: আমিন ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে বেরিয়ে ফের সেই ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা চালু করেছে। তবে এবার ডিবি পুলিশ ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশকে মাসিক মাসোয়ারায় ম্যানেজ করে প্রতিদিন এই মোবাইল এ্যাপস বেটা-৩৬৫মাধমে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে। এতে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন খেজুরবাগ সাতপাখি রোড এলাকার মো: আবুল হোসেনের ছেলে মো: আমিন হোসেন র্দীঘ দিনে থেকে স্মার্ট মোবাইল ফোনে অনলাইনে বেটা-৩৬৫ সফটওয়ার মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা চালিয়ে আসছিলো। কিন্তু একসময় কেরানীগঞ্জ ডিবি পুলিশের একটি টিম আমিনের এই ডিজিটাল ক্যাসিনোর ব্যাপারে জানতে পেরে ২২মার্চ-২০২০ কমদতলীস্থ সেমন্তি কনভেনশন হলের সামনে থেকে জুয়া খেলা অবস্থায় আমিনকে সহ ৪ জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। অতপর জুয়ারীদেরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩০/৩৫ ধারায় মামলা দিয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করলে পুলিশে তাদেরকে কোর্ট প্রেরণ করে। মামলা নাম্বার-৪৫।
সুত্র জানায়, জুয়ারী আমিন ইতিমধ্যে এই অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ফলে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই অন্তত ১০ লাখ টাকা খরচ করে জামিনে বেরিয়ে আসেন। আর এই ডিজিটাল ক্যাসিনোতে লাভের পরিমান অনেক বেশী হওয়ায় আমিন এবার কেরানীগঞ্জ ডিবি অফিস ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার কতিপয় কর্মকর্তাকে মাসিক মাসোয়ারায় ম্যানেজ করে আবারো চালিয়ে যাচ্ছেন এই জুয়া খেলা।
এই জুয়াতে বাজি ধরে অনেকেই নি:স্ব হলেও আমিন হচ্ছেন কোটিপতি। এলাকাবাসীর তথ্যের উপর ভিত্তি করে জুয়ারী আমিন সিন্ডিকেটকে প্রথমবার ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও এবার তাদের ব্যাপারে পুলিশ কিছুই করছে না, এমন অভিযোগও উঠে এসেছে।
সুত্র আরো জানায়, কেরানীগঞ্জের পারগেন্ডারিয়া এলাকার হাজী বজলুর রহমান চেয়ারম্যান বাড়ীর সাথেই জুয়ারী হিসেবে পরিচিত আমিনের বর্তমান বাড়ী। প্রথম দিকে আমিনের রিক্সার ব্যবসা ছিলো।
এখনো ৪/৫টি রিক্সা আছে। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে জুয়ার টাকায় গড়েছেন ৫ তলা আলিশান ভবন। ডিজিটাল ক্যাসিনোর জন্য তার হাতে থাকে ৫০হাজার টাকা মুল্যের মোবাইল ফোন। বছর দুয়েকের মধ্যে জুয়ার টাকায় আমিন কোটিপতি হয়েছেন ঠিকই তবে আনাড়ী জুয়া খেলোয়াড়রা হয়েছেন পথের ফকির। চলবে….