চট্রগ্রাম এর লোহাগাড়া উপজেলার ৫ নং কলাউজান ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান এম.এ.ওয়াহেদ বিরুদ্ধে অবৈধ বালু উত্তোলন এর অভিযোগ উঠেছে এক সপ্তাহ ধরে।বর্তমানে যে পরিস্থিতি তে বালু উত্তোলিত হচ্ছে সে জায়গার টঙ্গাবর্তী খালের দুপাশ ভেঙে বেহাল দশা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সচেতন মহল। অভিযোগের সংবাদ পেয়ে লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব এর সদস্য’রা বালুর উত্তোলনের চুটে গেলে, স্থানীয়দের অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদের সময় নাম বলতে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যাক্তি জনান, প্রতিদিন রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত বালু গুলো বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই হয়ে যায় ট্রাকে করে সে বালু ভর্তি ট্রাক গুলো চলাচলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সরকারি কোটি কোটি টাকার রাস্তা যা প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের স্বপ্নের বাংলা।
আরো জানা যায় এই বালুগুলো উত্তোলিত হচ্ছে স্থানীয় ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান এর নির্দেশ অনুযায়ী।এ ব্যপারে চেয়ারম্যান কে মুঠো ফোনে কল দিলে চেয়ারম্যান জানান, এখন উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য বালু পাওয়া যাচ্ছে না, তাই বালুগুলো উত্তলিত হচ্ছে, কিন্তুু তাকে প্রশ্ন করলে উত্তলিত হচ্ছে ৫০ গাড়ি এখানে আছে ২ গাড়ি বাকী বালু গেছে কই তখন সে উত্তর দিতে অপারগতা শিকার করে।
তারপর প্রশ্ন করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরিবেশ থেকে কোন পারমিশন নিয়েছেন কিনা বললে, তখন সে জানায়, ইউএনও কে বলছি কিন্তুু তিনি বলছেন কোন লিখত পারমিশন দিতে পারবো না চুরি চাট্টা করে পারলে তুল ধরা খাইলে মরবা এই ভাবে জানায় স্থানীয় চেয়ারম্যান।পরবর্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে বিষয়টা অবগত করে জানতে চাইলে, আপনি চেয়ারম্যান কে চুরি চাট্টা করে পারলে তোল ধরা খাইলে মরবা এই কথাটা বলছেন কিনা তখন ইউএনও জানান, এ বিষয়ে আমার সাথে কোন কথা হয়নি এসব টাউটবাজি এবং বাটপারি কথা।
তিনি আরো বলেন, আসলে রাত ১২ টার পর অভিযান করা সম্বব না। আর অভিযান করলে ও তারা কোন না কোন ভাবে টের পেয়ে যায়।তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে আমরা চেয়ারম্যান কে ইতেমধ্যে সতর্ক করে দিছি ওনি যদি কথা না শুনে তাহলে স্থানীয় বিভাগে এসব কাজকর্মের কথা জানিয়ে দিব।
এই নিয়ে লোহাগাড়া থানার ওসিকে অবগত করলে সে জানান, এগুলো পরিবেশ আইনে, এখানে পুলিশের কিছু করার নাই, এগুলো ইউএনও সাহেব কে বলেন, ইউএনও সাহেব নির্দেশ দিলে আমরা পৌঁছ পাটাবো।উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয় সচেতন মহল ও জনসাধারণ।