মাহবুব সৈয়দ:- নরসিংদীতে বিয়ের প্রলোভনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে শিবপুর উপজেলার কুন্দারপাড়ার একটি ধান খেতে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন গতকাল বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাতে শিবপুর মডেল থানায় গণ ধর্ষণের মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতিতা ওই নারী। এ ঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত দুই আসামীকে শিবপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামী আক্তার হোসেন (৩০) রায়পুরা উপজেলার সাহেরচর এলাকার মোমরেজ খানের ছেলে এবং অপরজন একই এলাকার জামির আলীর ছেলে রহিম খান (৩২)। এঘটনার অপর অভিযুক্ত মোমেন ওরফে মোনায়েম খান (২৬) পলাতক রয়েছেন।
শিবপুর মডেল থানা ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এ ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজহারে জানা গেছে, স্বামী পরিত্যাক্তা এক সন্তানের জননী ওই নারী সদর উপজেলার একটি মোমবাতি ফ্যাক্টিরীতে কাজ করে জিবীবিকা নির্বাহ করতেন। একই স্থানে কাজ করতে গিয়ে পরিচিত হয় সালমা আক্তার নামে এক নারীর সাথে।
তার সূত্র ধরে সালমার ভাই অভিযুক্ত আক্তার হোসেনের সাথে মোবাইলে কথোপকথন চলে, গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরই জের ধরে গত পরশু (১৭ নভেম্বর) বিয়ের কথা বলে নারীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত আক্তার হোসেন।
পরবর্তীতে আক্তার হোসেন তার দুই সহযোগীসহ সিএনজি যোগে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরার পর শিবপুর উপজেলার কুন্দারপাড়ার একটি নির্জন স্থানের ধান খেতে নিয়ে জোরপূর্বক পলাক্রমে ধর্ষণ করে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
এ ঘটনার পরদিন গতকাল রাতে আক্তার হোসেনসহ তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা ওই নারী। রাতেই অভিযুক্ত দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার করলেও অপর আরেক অভিযুক্ত এখনো পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অপর অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।