চকবাজার থানাধীন জিইসি মোড়ের ক্যান্ডিকে চরম অস্বাস্থ্যকর ফ্রিজে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ, রান্নাকরা মাংস পলিথিন ব্যাগে সংরক্ষণ, ময়লা পাত্রে খাদ্যোপকরণ সংরক্ষণ এবং ময়লাযুক্ত খাদ্যোপকরণ ব্যবহার করায় ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা করে সার্বিক পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়া আরো ৭ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৬৭,০০০ ( সাতষট্টি হাজার টাকা) প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার ০২ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ্ ও চকবাজার থানা এলাকায়
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে এশিয়ান কাবাবকে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে ছাপা সংবাদপত্র ব্যবহার ও কিচেনে নোংরা পানি জমে থাকায় ৬,০০০ টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। অফটাইম স্ন্যাক্সকে উৎপাদন ও মেয়াদবিহীন পণ্য সংরক্ষণ করায় ৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। দি ইয়াম ইয়াম স্টোররকে উৎপাদন মেয়াদবিহীন পণ্য সংরক্ষণ, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যের মেয়াদ তুলে ফেলায় ২০,০০০ টাকা জরিমানা করে বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করা হয়।
অন্যদিকে আকবরশাহ থানার ফয়’স লেকের লাকী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে অননুমোদিত এনার্জিড্রিঙ্ক সংরক্ষণ করায় ৮,০০০ টাকা জরিমানা করে বর্ণিত এনার্জি ড্রিঙ্ক ধ্বংস করা হয়। মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করে ভোক্তাদের বেশি দামে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করায় ফ্রেশ ফুড কর্ণারকে ৮,০০০ টাকা গোল্ড হিল ও আশা রেস্টুরেন্টকে ১০,০০০ টাকা করে জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।