স্টাফ রিপোর্টারঃ ধামরাই উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সুয়াপুর ইউনিয়ন।সুয়াপুর ইউনিয়নের একটি অবহেলিত গ্রামের নাম রৌহা গ্রাম। যে গ্রামের সবচেয়ে অবহেলিত রাস্তাটির নাম হচ্ছে মোল্লাপাড়া রাস্তা।রৌহা গ্রামের ফুলতলা বাজার প্রাইমারি স্কুলের মোড় থেকে মোল্লাপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটা দেখলে মনে হতে পারে অভিভাবক ছাড়া একটি জনপদ। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার বেহাল দশা পরিণত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশেপাশের কয়েটি গ্রামের মানুষ।
গত কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অনুপোযোগী হওয়ায় অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, রৌহা গ্রামের কয়েকশ ছাত্রছাত্রী এ রাস্তা দিয়ে স্কুলে প্রতিদিন যাতায়াত করে।রাস্তর কাজ না হওয়ায় সারা বছরই দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারন মানুষদের, ফলে এতে পথচারীসহ শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।এমনকি মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে আসাও দুর্ভোগ হয়ে পড়েছে এই রাস্তা দিয়ে। এদিকে যাত্রাপথে গাড়ি-ভ্যানের যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে খুব দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করার প্রয়োজন। গ্রামের ভ্যানের চালক ওসমান মিয়া জানান,‘রাস্তার বেহাল দশার কারণে গাড়ি চালিয়ে শান্তি পাই না। অল্প জায়গায় সময় লাগে বেশি। মাঝেমধ্যে গাড়ির যন্ত্রাংশেন সমস্যার দেখা দেয়। অনক সময় যাত্রী গাড়ি থেকে নামিয়ে খালি গাড়ি টানতে হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা ডা.মাসুম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত এই জনপদ। সুয়াপর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসে যায় রাস্তার কাজ আর হয়না। আশ্বাসের মধ্যে দিয়েই থেকে যাচ্ছে চেয়ারম্যানদের রাস্তা উন্নয়নের কাজ। আর বছরের-পর-বছর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষদের। আর ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ জীবনযাপন।
তিনি জানান, ‘ফুলতলা বাজার প্রাইমারি স্কুলের মোড় থেকে মোল্লাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার কাঁচা রাস্তটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। রাস্তাটির এ অংশটুকু অতিক্রম করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায় যানবাহনের। গ্রামের এ রাস্তাটি পাঁকা করে আমাদেরকে দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করতে আবেদন জানাই স্থানীয় সরকারের কাছে।’
একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা আলন জানান, ‘আমরা অনেক দিন যাবত রাস্তাটি পাঁকা করার জন্য ইউনিয়ন অফিসের বর্তমান ইউপি সদস্য এবং চেয়ারম্যানকে জানিয়ে আসছি। চেয়ারম্যান, মেম্বার বছরের পর বছর আশ্বাস দিলেও তা আজও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এর আগেও যারা চেয়ারম্যান হয়েছেন আমরা এ রাস্তাটির জন্য ইউনিয়ন অফিসে গিয়েছি তবে তারাও এ রাস্তার উন্নয়নে হাত দেননি। তাই, এখন আমাদের দাবি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাস্তাটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হোক। আমার এ দাবি শুধু আমার না এ গ্রামের প্রতিটি মানুষের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুয়াপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুর রহমান সোহরাব বলেন, ’এ রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছে, শীঘ্রই কাজ ধরা হবে। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে বহুবার উপজেলা থানা ইঞ্জিনিয়ারের কাছে আবেদন করেছি। গত এক সপ্তাহ হলো আবারও এ রাস্তাটির বিষয়ে কথা বললে থানা ইঞ্জিনিয়ার জানান করোনা দূর হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তুলানামূলকভাবে সদর উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় সুয়াপুর ইউনিয়নে রৌহা গ্রামের উন্নয়ন কম হচ্ছে, তাই আমার আকুল আবেদন সরকারের কাছে আমার এ সুয়াপুর ইউনিয়নে রৌহা গ্রামের উন্নয়ন খাতে আরও অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়ে উন্নয়ন করার সুযোগ করে দেওয়া হোক। ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন আমাদেরকে জানান,এই রাস্তার কাজ এমপি সাহেবের ডিউ লেটার এ দেওয়া আছে রাস্তার কাজ এইবার না হলে আগামী বার হয়ে যাবে।