ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আইজিপির নিকট অভিযোগ

0
724

স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রাম সিএমপির বন্দর থানার সাবেক ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের মহা-পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি)র নিকট সাংবাদিককে হয়রানী করায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগের তারিখ-২৫-১০-২০২০খি:। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৮সালের ৬জুন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বিভাগের ওয়াচম্যান বুকিং সেলে ১০বছরে প্রায় ১৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার তথ্য, তথ্য অধিকার আইনে সংগ্রহ করে সংবাদ পরিবেশন করতে চায় অভিযোগকারী। তথ্য কমিশনও বিষয়টি জানতেন।

তখন থেকে ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী দুর্নীবাজদের সাথে আঁতাত করে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে সাংবাদিককে হয়রানীর ষড়যন্ত্র শুরু করে। যখন প্রভাবশালী মহল সাংবাদিককে হত্যা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেয় তখন গত ১৯-৬-২০১৯ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার সময় বন্দর থানায় জিডি/অভিযোগ দায়ের করতে গেলে ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী কোন আইনি সহায়তা না করে সাংবাদিককে বিদায় করে দেন। ৬দিন পর মোটা অংকের টাকা খেয়ে ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী প্রায় ১৭ কোটি টাকা আতœসাতকারীদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকসহ ৪জনের নাম উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করে, মামলা নং-২২, বন্দর থানা, তারিখ-২৬-৬-২০১৯খ্রি:।

মামলা রুজু করে গত ১৮-৭-২০১৯ তারিখ রাত ৩টার সময় সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করে। উক্ত মামলায় সাংবাদিক ৩মাস ২২দিন কারাগারে বন্দি ছিলেন। গত ২২-১০-২০২০তারিখ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তায় করা মামলাটি বিচারক খারিজ করে দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী হলেন, জাতীয় সাপ্তাহিক আমাদের অধিকার পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের সদস্য সচিব, রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ। রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ পিবিআই ও হাইওয়ে পুলিশ নিয়ে জনস্বার্থে অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ একজন পুলিশ বান্ধব সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠক জেনেও সেদিন ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী টাকার নেশায় সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি।

ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলায়। সে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ সময়ে চট্টগ্রাম জেলায় চাকুরী করে অবৈধভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। সে বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসের কাছের লোক তাই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে টাকার বিনিময়ে ক্রসফায়ার দেওয়ার চেষ্টা করেন, গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিককের পক্ষে সৎ পুলিশ অফিসার থাকায় তিনি তা করতে পারনেনি।

নিজ জেলায় পুলিশ কর্মকর্তারা চাকুরী করতে পারবেন না, এই আইন না থাকায় চট্টগ্রাম জেলার অনেক পুলিশ কর্মকর্তা চট্টগ্রাম জেলা পুলিশে ও সিএমপিতে বছরের পর বছর চাকুরী করছেন এবং অবৈধ সম্পদের মালিক হচ্ছেন, ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বন্দর থানা থেকে বদলি হয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের সিলেট রেঞ্জ সংযুক্ত আছেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আবার চট্টগ্রাম রেঞ্জে আসার চেষ্টা করছেন। তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করলে আরো অজানা তথ্য বাহির হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × five =