কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরে সূর্যের দেখা নেই তীব্র শীতে কাপছে মানুষ গরম কাপরের দোকানে ভির

0
560

মাজহারুল ইসলাম রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ গত ৭ ডিসেম্বর থেকে আজ ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সূযের তাপ না থাকায় তীব্র শীতের তীব্রতায় কাপছে দুই উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ। প্রতিদিনই বেড়েই চলছে শীতের তীব্রতা। দেশের উত্তরঞ্চলটি কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরসহ সীমান্তবর্তী দুটি উপজেলায় প্রতি বছরই শীতের তীব্রতা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য জেলার চেয়ে বেশি অনুভূত হয়। বছরের অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে শীতের আগাম বার্তায় বিপাকে পড়েছে দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ। সরকার থেকে ত্রাণের গরম কাপর, কম্বল বিতরণের চিত্র এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। আর সরকারিভাবে ব্যবস্থা থাকলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল দেখা যায়।


এ বছরে একটু আগাম মৃদু শীতের আগমনে সন্ধ্যা থেকে প্রায়ই সারাদিন কুয়াশাছন্ন থাকছে চারপাশ। ফলে সন্ধ্যা নামলেই শুরু হচ্ছে তীব্র ঠান্ডায় গরম কাপরের দোকান গুলোতে শীতারতদের ভির দেখা য়ায়। রাত হলেই শীতের কম্বল, লেপ কাথা মুড়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে এই এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।০৭ ডিসেম্বর রাতে চাঁদনী পাকা রাস্তার ধারে অটো ও ভ্যান চালকদের আগুন জ্বালিয়েও শীত নিবারন করতে দেখা যায়। শীত এলে এমন দৃশ্য পৌর শহর থেকে শুরু করে গ্রামের আনাচে কানাচে দেখা মেলে।

রাতদিন সারাদিন মনে হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। চোখের দৃষ্টি মিলিয়ে নিতে দেখা গেল বেশ কিছু বৃষ্টির ফোটা শুকনো মাটিতে দাগ একেঁছে। মূল কথা মেঘলা আকাশ, মৃদু শীতের উপস্থিতি ক্ষণিকেই দেখা দিল দুই উপজেলার, মানুষ নিমিষেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।অপর দিকে হাসপাতাল গুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও দিনদিন বারছে। এ উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ০৭ ডিসেম্বর সকাল থেকেই সারা রাত কুয়াশা নামতে শুরু করে। রাতভর বৃষ্টির মতো টুপটুপ করে কুয়াশা পড়তে থাকে।

এদিকে হাটবাজার গুলোতে দেখা যায় গরম কাপর মালফাটএবিষয় রৌমারী উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান শীতের রৌমারী উপজেলায় ২৭৬০ পিচ কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি তালিকা করে পৌছে দেয়ার হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন দরিদ্রদের জন্য যেসব কম্বল এসেছে সকলের সমন্বয়ে বিতরন করা হবে।এবিষয় উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ জানান এই উপজেলার জন্য আরো বেশি কম্বল গরম কাপরে বরাদ্দের বাদী করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen + 4 =