ফতুল্লা যমুনা ডিপোর হোটেল বয় থেকে সিবিএ নেতা জয়নাল আবেদীন

0
504

বিশেষ প্রতিবেদক: সম্পতি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকায় যমুনা ডিপোর কেন্টিন বয় জয়নাল আবেদীন টুটুল এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। কিন্তু কি ভাবে? এ বিষয়ে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। জয়নাল আবেদনী টুটুলের বাবা যমুনা ডিপোর একজন দারোযান, সে সুভাদে জয়নাল আবেদীনের চাকুরী হয় যমুনা ডিপোর হোটেল বয় হিসাবে। এখান থেকে তেলচুরির হাতে খড়ি। হোটেল বয়ের চাকুরীর ফাঁকে ফাঁকে অথবা ছোট ড্রাম ও নেকরা নিয়ে ভিবিন্ন তেল লরির তেলের নির্জাস থেকে নেকরা দিয়ে তেল কুড়াতে শুরু করে দুই এক লিটার প্রতিদিন বিক্রি করে কোন মতে সংসার চালাতো বাব বেটা মিলে। কয়েক বৎসর পর পিতা অনুনয় বিনয় করে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে টুটুলের পিয়ন পদে চাকুরী হয়, আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নী। এবার ধিরে ধিরে কৌশলে সবার মন জয় করে নেন।

বিএনপি নেতাদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে তেল পাচারে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেন এবং বিএনপির ভিবিন্ন মিছিল মিটিং এ অংশ নেন কিন্তু সংসদ নির্বাচনে বিএনপি হেরে গেলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। সাথে সাথে জয়নাল আবেদীন টুটুল রাজ নীতির চাকা গুরিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। যার ফলে যমুনা ডিপোর সিবিএ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে সিবিএ নেতার পদটি বাগিয়ে নেন। শুরু হয় উত্থান আর পিছু পা দিতে হয়নী। ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দাবী আদায়ের কথা বলে ম্যানেজম্যান্দের দালালি করে লুটেপুটে খাচ্ছে এরুপ হাজারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ট্যাংক লরি এসোসিয়েসনের নেতা আফাজ উদ্দিনসহ বেস কিছু চোরাই তেল সিন্ডিকেটের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে চোরাই তেল পাচারে মেতে উঠে জয়নাল আবেদীন টুটুল। অভিযোগের ভিত্তিতে আরও জানা যায় ডিপোর নদীর পাশ নিরাপদ হওয়ায় নদীর পাশ দিয়ে তেল পাচার করা হচ্ছে।

তেল পাচারের কৌশল সম্পর্কে উল্লেখ করেন রাত হলে দারোয়ানের সহযোগিতায় ডিপোর বিতর পাইপ ডুকিয়ে বাতাস দিযে তেল উত্তোলন করে আবার অনেক সয়ম ছোট ছোট পাম্প দিয়ে ওয়াল বেত করে কৌশলে তেল পাচার করছেন ফজরের আযান দিলে তেল পাচার বন্ধ হয়। উল্লেখ্য প্রতি রাতে ১৫/১৬ ব্যারেল তেল পাচার হচ্ছে ফলে প্রতি মাসে ৪/৫শত ব্যারেল তেল পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই তেল বাজারজাত করার জন্য পূর্ব থেকেই লোকজন সেট করা থাকে যাহা পূর্বের রির্পোটে উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া অনেক সময় ড্রাম না থাকলে ড্রেনের খোন্দলে পাইপ ছেরে দেয় পরবর্তীতে ড্রেন থেকে ড্রামজাত করে ফতুল্লা এলাকায় বিএনপির নেতার অস্থায়ী দোকানে ১০/১২ ব্যারেল তেল দিচ্ছেন বাকী তেল ড্রামজাত করে মুন্সগঞ্জ অথবা বরিশাল লাইনের লঞ্চে করে পাচার করা হচ্ছে, এই নিয়মে যমুনা ডিপোকে পুজি করে গিলে খাচ্ছে জয়নাল আবেদীন টুটুল। এখানেই শেষ নয় এতো রাতের কাহিনী।

এবার দিনের পালা। দিনের বেলা যে সকল ট্যাংক লরিতে পেট্রোল পাম্পে তেল যাচ্ছে সেখানেও চলছে চুরির কৌলশ, চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী, ট্যাংক লরির প্রতিটি গাড়ীতে রয়েছে চোরাই চেম্বার, যখনই গাড়ীতে তেল লোড দেয়া হয় প্রথমে তেল গিয়ে চোরাই চেম্বারে ডুকে পরে এই চোরাই চেম্বারের। তেল ভিবিন্ন পাম্পে অনলোড করা হলেও চোরাই চেম্বারের তেল থেকে যায় সেই তেল ভিবিন্ন চোরাই তেলের আস্তানাগুলিতে বিক্রি করে সে টাকা টুটুলকে দিতে হয়। এই টাকার অংশ পয়েন্টম্যান, দারোয়ানসহ কয়েকটি বাগ হয় বলে জানা যায়।

এ সকল চুরির চিত্রগুলি নতুন কোন ঘটনা নয়। এবার আসা যাক হোটেল বয় থেকে কোটিপতি যমুনা ডিপোর দারোয়ানের ছেলে জয়নাল আবেদীন টুটুল একজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর ১২ হাজার ৫শত টাকার স্কেলে চাকুরী করে৭/৮ তলা আলিশান বাড়ীর মালিক বনে গেছে এই চোরাই তেলের টাকার ফসল ফতুল্লার ব্রাজিল বিল্ডিং। এই ব্রাজিল বিল্ডিং এর চিত্র বাংলাদেশের সবাই জানে কিন্তু ব্রাজিল বিল্ডিং এর মালিক কি করে এটা কিন্তু কেহ জানেনা।

জয়নাল আবেদীন টুটুল আসল রহস্য দিন দিন রেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে। কথায় বলে চোরের বাড়ি দালান উঠে না। কিন্তু এখ উঠে সব কিছুই পাল্টে গেছে এখন হজ্ব করে এসে মানুষ মানুষকে ঠকাচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে। অহরহ তাহার প্রমান রয়েছে যাহা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে, হাজার হাজার প্রমানও রয়েছে। যদি কোন সন্ত্রাসি চাঁদাবাজি করে আর যদি কোন নেতার ছত্রয়ায় থাকা যায় তাহলে এলাকার বড় ভাই হতে সময় লাগে না। বড় ভাই উপাধি পেয়ে থাকেন এখান থেকেই উত্থান শুরু ঠিক জয়নাল আবেদীন টুটুলের বেলায়ও তাই জয়নাল আবেদীন টুটুল হোটেল বয় থেকে আওয়ামী লীগের নাম লিখে ঘটফাদার সেজে যমুনা ডিপো থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার, যার বাবা ছিলো ডিপোর একজন দারোয়ান, এখন সেই টুটুল নিজের ব্রাজিল বিল্ডিং তৈয়ার করে। এখন ব্রাজিল বিল্ডিং এ রেখেছেন দুজন দারোয়ান। দুইজন দারোয়ানকে বেতন দিচ্ছে ৩০/৪০ হাজার টাকা।

এখানে প্রশ্ন থেকে যায় টুটুল প্রতি মাসে কত টাকা অবৈধ্য ভাবে কামাচ্ছেন যাহা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আর দর্শকদের বুঝতে অসুবিধা নেই। অবৈধ্য পন্থায় বিপিসির তেল বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যার ফলে বৎসর শেষে বিপিসি কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। অপর দিকে ডিপোর ডিএসদের ভূমিকাও রহস্য জনক বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। এছাড়া তেল পাচার এটা কোন নতুন ঘটনা নয় প্রায় যুগ যুগ দরে চলে আসছে, কিছুদিন দরপাকর হলে সিমিত সময়ের জন্য থেমে থাকে। তাছাড়া এই তেল পাচারকরি সিন্ডিকেট সদস্য থানা পুলিশকে মোটা অংকের নাজরানা দিয়ে থাকেন বলে জানা যায়।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে ম্যানেজ করে তেল পাচার করছেন টুটুল। এমনকি হারুন অর রশিদ থাকা কালিন অবস্থায় টুটুলের আত্মিয় পরিচয় জাহির করেন এলাকায়। চোরাই তেল পাচার সর্ম্পকে নারায়ণগঞ্জ র‌্যাবের এএসপি মোস্তাফির রহমানের সাথে আলপ করলে তিনি জানান চোরাই তেল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে র‌্যাব সদস্য বদ্ধপরিকর ইতিমধ্যে সিদ্দিরগঞ্জ বারমা সিল ও এসও গেটে অভিযান চালিয়ে অনেক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন।

এবং আর যদি কেহ অভিযোগ অথবা তথ্যদিয়ে সহযোগিতা করে তাহলে তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। তাছাড়া তিনি আরো বলেন চোরাই তেলের সিন্ডিকেট সদস্যদের নাম ঠিকানাগুলি প্রত্রিকায় প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করেন। এখানেই শেষ নয় চোরা কারবারিরা দেশ ও জাতির শত্রু বলে আক্ষায়িত করেন। আগামী সংখ্যায় বিপিসির চেয়ারম্যান মো: শামছুর রহমানের মুখামুখি হয়ে তার মখের ভাষ্যসহ প্রকাশ করা হবে। অপর দিকে সিবিএ নেতা জয়নাল আবেদীন টুটুলের ঘুটির জোর কোথায় গভীরে অনুসন্ধান করে মুখশ উম্মচন করে জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। বিস্তারিত দেখুন আগামী সংখ্যায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 3 =