কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় মাতারবাড়ী ১২শ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই যৌথ অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার, কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী। অনুশীলনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সেনাসদরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১০ পদাতিক ডিভিশন এ অনুশীলনের আয়োজন করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের একটি মেগা প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত। প্রকল্পটি কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় প্রায় ১৬০০ একর জমির উপর নির্মাণাধীন রয়েছে। প্রকল্পটিতে এলাকার স্থানীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়াও দেশি-বিদেশি নাগরিকগরা কর্মরত রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যেমন- অগ্নি দুর্ঘটনা, শ্রমিক অসন্তোষ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ইত্যাদির ক্ষেত্রে সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকল্পে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি ব্যক্তিবর্গকে উদ্ধার, স্থানান্তর করা এবং জরুরি পরিস্থিতিতে প্রকল্প এলাকার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ যৌথ অনুশীলনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনী যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে মাতারবাড়ী প্রকল্প এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দেশি-বিদেশি ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা প্রদানে সদা প্রস্তুত। আজকের এই অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হলো, যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
সশস্ত্র বাহিনী ও অসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই যৌথ অনুশীলন প্রত্যক্ষ করেন।