টঙ্গীতে চোরাই মার্কেটে প্রকাশ্যে চলছে বেচাকেনা অন্ধকারে প্রশাসন

0
843

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুর টঙ্গীতে চোরাই মার্কেটে প্রকাশ্যে চলছে বেচাকেনা, অন্ধকারে রয়েছে প্রশাসন। টঙ্গীতে চোরাই বাজারকে বলা যায় চোরাই মাল বিক্রির নিরাপদের একটি আখড়া। এলাকার সব মানুষ এসব বাজার সম্পর্কে অবগত। তবে অন্ধকারে স্থানীয় প্রশাসন ও থানার পুলিশ। এখানে বলা হচ্ছে টঙ্গীর বউ বাজার ও রেল স্টেশন-সংলগ্ন আরেকটি অনানুষ্ঠানিক বাজারের কথা। দুই যুগ ধরে বউ বাজারে চলছে চোরাই মাল বিক্রি। বিশেষ করে মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি, চশমা, চার্জার লাইট, টেবিল ফ্যান, টর্চলাইটসহ গৃহস্থালির নানা পণ্য। প্রকাশ্যেই এসব ক্রয় বিক্রয় চলে। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।

তাদের অভিযোগ, বউবাজার এলাকার চোরাই বাজার প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। উত্তরাসহ আশপাশের এলাকা থেকে মাদক সেবীরা চুরি, ছিনতাই করে নিয়ে আসা নানা পণ্য এখানে বিক্রি করে থাকে। রাত হলেই ভুক্তভোগীরা তাদের খোয়া যাওয়া মোইল ফোন ফিরে পেতে এখানে আসেন এবং দ্বিগুণ মূল্য দিয়ে তা ফিরে পান।উত্তরা থেকে আসা মাহামুদ হাসান জানায়, সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরে যাওয়ার পথে বাসের জানালা দিয়ে তার স্যামসাং মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় এক দুর্বৃত্ত।

তিনি এক বন্ধুর মাধ্যমে বউবাজারে এসে ৮ হাজার টাকা দিয়ে ফোনটি নতুন করে কিনে নেয়। সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর জমে ওঠে চোরাই বাজার। দুই যুগের বেশি সময় ধরে এভাবেই প্রকাশ্যে পরিচালিত হয়ে আসছে এই বাজার। এখানে চোরাই মাল বিক্রি করতে ঝামেলা পোহাতে হয় না বিধায় দুর্বৃত্তদের এটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এই চোরাই বাজার। অন্যদিকে টঙ্গী রেল স্টেশন মোড়ে ২০ বছর ধরে চলে আসছে চোরাই জুতার মার্কেট। এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, অফিস ও বাসাবাড়ি থেকে প্রতিদিন শতাধিক জুতা চুরির ঘটনা ঘটে। এসব জুতা চোর চক্রের সদস্যরা প্রকাশ্যে নিবিঘ্নে রেল স্টেশন-সংলগ্ন চোরাই মার্কেটে বিক্রি করে থাকে।

লোকমান হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী জানায়, ‘কয়েক দিন আগে বন্ধুদের নিয়ে টঙ্গীর মাছিমপুরে একটি অফিসে গেলে চোর চক্রের সদস্যরা আমাদের আট জোড়া জুতা চুরি করে। পরে রেল স্টেশন চোরাই মার্কেট থেকে চুরি হওয়া জুতা উদ্ধার করি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, চোরাই মার্কেটগুলো বন্ধ করে দিলে এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা কমে যাবে। স্থানীয় প্রশাসনের যথাযথ দৃষ্টি না থাকায় দিনে দিনে এলাকায় চুরি, ছিনতাই বেড়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে টঙ্গী থানার ওসি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম জানান, ‘চোরাই মার্কেট সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে পুরাতন মাল ক্রয়-বিক্রয়ের মার্কেট হিসেবে শুনেছি। যদি চোরাই মার্কেট হয়, আমরা খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × five =