নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার উত্তরাঞ্চলের এক সময়কার শীর্ষ খুনি ও সন্ত্রাসী বাহিনী কামু সুরত আলীর পর নব্য সন্ত্রাসী তাওলাদ হোসেন ওরফে তালু বাহিনীর হাতে জিম্মি নারায়ণগঞ্জের বন্দর,সোনারগাঁও ও রুপগঞ্জের হাজার হাজার অসহায় মানুষ। সন্ত্রাসী তালুর বিরুদ্ধে ২০০৩ সালে ততকালীন শীর্ষ আরেক সন্ত্রাসী কামুর ভাই নুরা ও বোন রেহেনা হত্যা,রুপগঞ্জের পিতা,পুত্র ও সাংবাদিক হত্যাসহ হাফডজন হত্যা মামলা সহ অস্ত্র ও মাদকের প্রায় ২০ টিরও বেশি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে একটি বিশ্বস্ত সূত্র। খুনি তাওলাদ হোসেন বন্দর উপজেলার ২৭নং ওয়ার্ডের মুরাদপুর এলাকার মৃত আফছার উদ্দীনের ছেলে।
খুনি ও সন্ত্রাসী তালু তার নিজ এলাকা মদনপুর ও আশেপাশের সোনারগাঁও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তার ভাই মনির হোসেন ও বিদেশী এছাকের মাধ্যমে ফেন্সিডিল,ইয়াবা,গাঁজা ও হিরোইন সহ সকল ধরনের মাদক পাইকারী বিক্রি করে আসছে।কয়েকদিন আগে তার ভাই মনির মাদকসহ পুলিশের হাতে আটকের পর জেল হাজতে যাওয়ার পর তালু তার কালো টাকা দিয়ে কোর্ট থেকে জামিনে বের করে আবারও বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সময়ে সন্ত্রাসী তালু তার শ্বশুর বাড়ি রুপগঞ্জের মাছিমপুর দিঘিরপাড় এলাকায় তার স্যালক হানিফ ও রশীদের মাধ্যমে স্থানীয় বাবু ও জালালসহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠণ করে ফেন্সিডিল ও ইয়াবার একটি আখড়া তৈরী করে পাইকারী মাদক দ্রব্য বিক্রি করে আসছে।
একইসাথে বন্দর উপজেলার মদনপুর,ফুলহর,দেওয়ানবাগ,লাউসার,সুখেরটেক সহ সোনারগাঁওয়ের কয়েকটি এলাকা ও রুপগঞ্জের মাছিমপুর,ছনপাড়া,বরপা,গাউছিয়া সহ কয়েকটি এলাকায় সন্ত্রাসী ও খুনি তালু বাহিনী মাদক ব্যবসা,জোরপূর্বক জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে।তালু বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী কোন প্রতিবাদ করলে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।এমতাবস্থায় সন্ত্রাসী তালু বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে মানবতার মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নারায়ণগঞ্জ বাসী।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব জায়েদুল আলম পিপিএম বলেন, এ বিষয়গুলো আমাদের থানা পুলিশ দেখেন।আমি তাদের নিকট থেকে তথ্য নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো। সন্ত্রাসী তালু বাহিনী সম্পর্কে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফখরুদ্দিন ভূইয়া বলেন,আমি এখানে নতুন এসেছি।তবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে তাকে গ্রেফতারে আমাদের পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।