তড়িঘিড়ি রাস্তা বিহীন ব্রীজ নির্মান করার চেষ্টা করছে কুড়িগ্রামের রৌমারীর কর্মকর্তারা

0
435

রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় রাস্তা বিহীন ব্রীজ নির্মাণে বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর নড়েচরে বসেছে প্রশাসন। তড়িঘড়ি করে ব্রীজের দু’পাশে কৃষকের জমি জোবর দখল করে পরিকল্পিত ভাবে কর্মসৃজন কর্মসূচী (মঙ্গা )’র ১’শ ৮০ জন শ্রমিক দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। জমির মালিকের বাধা সত্বেও জোর করে উচু ভিটা থেকে মাটি কেটে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এবিষয় সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে বন্দবেড় ইউনিয়নে জিগ্নীরকান্দা সমতল জমির উপর অপরিকল্পিত ভাবে ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। এটি এলাকাবাসির কোন কাজে আসছে না। ব্রীজের দু’ পাশে সংযোগ রাস্তা নেই। ব্রীজের পশ্চিম পাশে শতশত জমিতে সরিষা ভরা মাঠ। ব্রীজটি নির্মাণ করার সময় এলাকাবাসি বাধা দিলেও জোরপূর্বক ভাবে রেকর্ডি জমির উপর বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের যোগসাজসে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে।

অপরিকল্পিত ব্রীজ নির্মাণের বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। তথ্য সুত্রে জানা যায, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট নিমার্ণ প্রকল্প ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৬৪ টাকা ২০ পয়সা ব্যয় ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রীজের এপ্রোচ রোড ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা করেনি।

জমির মালিক ঝুনকিরচর গ্রামের নাসির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমার জমির উপর দিয়ে ব্রীজের মাথায় মঙ্গার কামলা দিয়ে রাস্তা বানানোর চেষ্টা চলছে। এতে আমার অনেক জমি ও গাছের ক্ষতি হবে। আমি এ জায়গা দিমু না। খঞ্জনমারা গ্রামের মজাহার মন্ডল জানান, রাস্তা নির্মাণ করে করুক, কিন্তু আমার উচু জমি থেকে মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। মঙ্গার শ্রমিক দিয়ে ভিটা থেকে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। তবে শ্রমিকরা যদি ভুল করে কেটে থাকলে, ঠিক করে দিব।

উপজেল্ নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর সরেজমিনে গিয়েছিলাম। তবে জনস্বার্থে ব্রীজের এপ্রোচ রোড ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে সঠিক ভাবে তদারকি করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × five =