চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের সেক্রেটারী পরিচ্ছন্ন কর্মী রূপম কান্তি দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

0
513

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের সেক্রেটারী পরিচ্ছন্নকর্মী রূপম কান্তি দাসের বিরুদ্ধে রোগী হয়রানি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা রূপম কান্তি দীর্ঘদিন থেকে সংগঠনের নেতা দাবী করে ডিউটি না করেই বেতন ভাতা ভোগ করে আসছেন। এছাড়া তার  বিরুদ্ধে কমিশন বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। পরিচ্ছন্ন কর্মী রূপম ডিউটি না করে হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও রোগীদের ঔষধপত্র ক্রয়ে বেপরোয়াগতিতে কমিশন বানিজ্য অব্যাহত রেখেছে। কর্মস্থলে না  এসে উল্টো ওয়ার্ডের  ইনচার্জ ও অন্যান্য স্টাফদের জিম্মি করে নানা অনিয়ম দুর্নীতি চালাচ্ছে। কর্মস্থলে না এসে বেতন ভাতা গ্রহন এবং আচরণ বিধি অমান্য করার বিরুদ্ধে গত ২১/১২/২০২০ইং তারিখে ওয়ার্ড ইনচার্জ তাজমহল আক্তার চমেকের পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি দীর্ঘ সময় অনুপস্থিত থাকার কারণে হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কাজ মারাত্মক ভাবে ব্যাহত  হচ্ছে বলে ওয়ার্ড ইনচার্জ অভিযোগ করেন।

পরিচ্ছন্নকর্মী রূপম ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের সেক্রেটারী পদটি স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে জোরপূর্বক হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘ সময় এই পদে থেকে তিনি চমেকে একটি দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। ঐ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রোগীদের জন্য বরাদ্ধকৃত সিট টাকার বিনিময়ে বেচাকেনো,

সরকারী হাসপাতালের ঔষেধের উপর কমিশন বাণিজ্য এবং তার সিন্ডিকেটের নার্স দিয়ে অযথা সিøøপ লিখে রোগীদের হাতে ধরিয়ে দেন আর সিøপ গুলো তার সিন্ডিকেটের সদস্য উজ্জ্বল, সুমন, প্রদীপ, তপন, রাজু, হারুন ও তুফান আদান প্রদান করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় বলে ভুক্তভোগী রোগীরা অভিযোগ করেন।

তথাকথিত কর্মচারী পরিষদের সেক্রেটারী পদটি হাতিয়ে নিয়ে তিনি মনগড়া ভাবে একটি দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট চক্র গড়ে  তোলেন। এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রোগীদের ভর্তিবানিজ্য, ঔষধের সিøপ বাণিজ্য করে  অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। হাসপাতালের  সামনে তার সিøপ বানিজ্যের জন্য বিকে ফার্মেসী, শাহীন ফার্মেসী, জয়নব  ফার্মেসী ও রংধনু ফার্মেসী নামে ৪টি ফার্মেসী নির্ধারিত রয়েছে।

হাসপাতাল থেকে রোগীদের প্রতিদিন শত শত সিøপ বের হয়। প্রত্যেকটি সিøপ আনা নেয়ার জন্য রূপমের সিন্ডিকেটের ৩/৪ জন সদস্য নিযুক্ত রয়েছে। ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগ, রুপমের পছন্দের ফার্মেসী ছাড়া অন্য কোন ফার্মেসী থেকে ঔষধ কেনা যায় না। আর তাদের ঐ ফামের্সী থেকে ঔষধ কিনলে মূল্য ও বেশী নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

রোগীরা অভিযোগ করেন, প্রতিটি সিøপ থেকে বড় দাগের কমিশন পান রুপম কান্তি দাস। খোঁজ নিয়ে জানা  যায়, পরিচ্ছন্ন কর্মী রূপম নেতা দাবী করে একদিকে কোন কাজ করেন না অন্য দিকে নার্স ও রোগীদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকার কমিশন বানিজ্য চালাচ্ছেন। 

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, পরিচ্ছন্নকর্মী রূপম কান্তি দাস চমেক হাসপাতালের ৩৩ নং প্রসূতি ওয়ার্ডে কর্মরত। সে লুটপাটের টাকা দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে ৫ শতাংশ ভূমি ও ক্রয় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নার্স জানান, রূপম সিøপ বানিজ্য করে প্রতিদিন ঐ হাসপাতালে ১০/১৫  হাজার টাকা কামায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

19 + 19 =