টিআই শহীদুল নীরব চাঁদাবাজি

0
625

জেমস এ কে হামীম: উত্তরার খাল পার হতে ডিয়াবাড়ী পর্যন্ত যে সব গাড়ী চলাচলের করেন তার একাংশে চলাচলকারী যানবাহন চালকদের কাছে ট্রাফিক পুলিশের টি আই শহীদুলের প্রকাশ্য চাঁদাবাজি এখন বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। খালপার হতে চৌরাস্তা পর্যন্ত মাত্র দুই কিলোমিটার সড়কের অন্তত তিনটি স্পটে ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন চালকরা। মালিক ও চালকদের কাছ থেকে মাসিক চুক্তিতে অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে সড়কের নিরাপত্তায় থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে একাধিক দিন সড়কের স্পটে ঘুরে ও গাড়িচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উত্তরার ১১ নম্বর জমজম টাওয়ারের  অটোরিকসা, বাংলা রিকসা মালিক সমিতি, লেগুনা, ইজি বাইক, ১১ নম্বর থানার মোড় রাইদা পরিবহন, আকাশ পরিবহন, ১৩নং সেক্টর পিকাআপ সহ অন্তত পাঁচটি স্পটে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে যানবাহন থেকে টাকা আদায় করে ট্রাফিক পুলিশ। অধিকাংশ সময় ট্রাফিক পুলিশের টিআই শহীদল্লাহ নেতৃত্বে এটি এসআই সজিব ও ট্রাফিক কনস্টেবল সালাম এ চাঁদা আদায় করে থাকেন। বিশেষ করে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির প্রধান টার্গেট। এই রোডে  প্রতিমাসে রাইদা থেকে এক লাখ টাকা, আকাশ পরিবহন থেকে ত্রিশ হাজার লেগুনা থেকে পনোর হাজার, ১৩ নং সেক্টর থেকে পিকআপ ও কর্ভাড ভ্যান থেকে ত্রিশ হাজার, অটোরিকসাও ইজিবাইক থেকে দশ হাজার ফুতফাত থেকে প্রতিদিন মাসহারা বিশহাজার টাকা, যানবাহন যাতায়াত করে।

উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের যে সকল ভবনের পার্কিং নেই তাদের কাছে মাস হারা নিয়ে থাকেন টি আই শহীদুল। তা ছাড়াযার প্রতিটিকেই দৈনিক বা মাসিক চুক্তির আওতায় ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিতে হয়। রাইদা পরিবহনের চালক মো: রাসেল বলেন, ‘আমার গাড়ির সব কাগজপত্র ঠিক আছে।

এরপরও প্রতিবার যাওয়া-আসার সময় ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। না দিলে কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে মামলা করবে। তাই হয়রানি থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে টাকা দেই।’ এ বিষয়ে টিআই শহীদুলের সাথে বার বার দেখ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 3 =