কাশ্মীর সীমান্তে গোপন সুড়ঙ্গের হদিস

0
523

জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার পাক সীমান্তে প্রায় ১৫০ মিটার লম্বা গোপন সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাক পাঞ্জাব থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যে এই সুড়ঙ্গটি খোঁড়া হয়েছে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

শনিবার ভোরে পানসার এলাকায় টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা ১৪ এবং ১৫ নম্বর সীমান্ত চৌকির মধ্যবর্তী এলাকায় সুড়ঙ্গটি চিহ্নিত করেন। প্রায় ৩০ মিটার গভীর ওই সুড়ঙ্গের ওপারে পাক পাঞ্জাব প্রদেশের সকড়গড় জেলা। সেখানে অভিয়াল ডোগরা এবং কিঙ্গরে-দে-কোঠে এলাকায় পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর দু’টি শিবির রয়েছে বলে দাবি বিএসএফের।

ভারতের অভিযোগ জঙ্গি অনুপ্রবেশের ‘লঞ্চিং প্যাড’ হিসেবে ডোগরা এবং কিঙ্গরে-দে-কোঠে ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই এলাকায় পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মুহাম্মদের কমান্ডার কাশিম জান দীর্ঘদিন ধরেই একটি প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছে। ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন কাশিম জান। গত নভেম্বরে কাশ্মীরের নাগরোটায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাতেও সে জড়িত ছিল বলে দাবি পুলিশের।

গত ১০ দিনের মধ্যে কাশ্মীর সীমান্তে এ নিয়ে ২টি সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলল। বিএসএফের এক কর্মকর্তা শনিবার বলেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ বলছে পানসারের সুড়ঙ্গটি প্রায় ৮ বছর আগে খোঁড়া হয়েছিল। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরেই সেটি জঙ্গি অনুপ্রবেশে ব্যবহৃত হয়েছে। সম্ভবত ২০১২ সালে সীমান্তের ওপারে পাক রেঞ্জার্সদের বাঙ্কার নির্মাণের সময় সুড়ঙ্গগুলো বানানো হয়েছিল।

তিনি জানান, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ওই সুড়ঙ্গের অদূরেই পাক জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন টহলদার বিএসএফ বাহিনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট বিনয় প্রসাদ। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ায় সম্প্রতি চিহ্নিত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশে সক্রিয় হয়েছে পাক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − fifteen =