ইমরান উল্লা বাবুর ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি থানা পুলিশের সেল্টারে ইটের গদিতে হামলা মারধর ও লুটপাট

0
454

মো: আবদুল আলীম: ইমরান উল্লা বাবু, পিতা: ওবায়দুলাø, সাং বারয়ানীপাড়া, বাগবাড়ী, গাবতলী, থানা: দারুস সালাম, ঢাকা এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, চাপাতি চাইনিজ কুরাল সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসী এসব কর্মকান্ডে দারুস সালাম থানার ওসির মদদ রয়েছে বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে। ইমরান উল্লা বাবুর বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় একাধিক জিডি, র‌্যাব-৪ বরাবর অভিযোগ এবং আদালতে মামলা রয়েছে। অভিযোগকারী ও মামলার বাদির কাছ থেকে জানা গেছে ইমরান উল্লা বাবুকে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে না পারায় ১২ নং বাড়ি, সাংবাদিক নুর হোসেন রোড, আহমেদ নগর, গাবতলী, থানা: দারুস সালাম, ঢাকা ঠিকানায় ইটের গদিতে হামলা চালায়। হামলার সময় চাপাতি, চাইনিজ কুরাল ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে। ইটের গদি গুঁড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি পারভীন বেগম দারুস সালাম থানায় মামলা করতে গেলে থানা জিডি গ্রহণ করে যার নং ৯৬৭ তারিখ ২৫-০৬-২০২০ ইং।

উক্ত জিডির কোন তদন্ত হয় নাই। জিডি করার পর আসামী ইমরান উল্লা বাবু অভিযোগকারীকে পূণরায় আক্রমন করে, ইটের গদিতে অবস্থিত দুইটি রুমের বাসা ভাংচুর করে এবং বাসার ভেতরে প্রবেশ করে জিনিসপত্র টাকা ও সোনার জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। বাসায় মহিলাদের পর্যন্ত মারধর করে। এই মর্মে ভিকটিম থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা না নিয়ে হয়রানি করে।

এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আদালতে মামলা নং ১৯/২০২১ ধারা ১৪৩/৩২৩/৪৪৭/৪৪৮/৪২৭/৩৭৯/৩৮৫/৫০৬/১০৯ দ:বি: দায়ের করতে বাধ্য হন। ইমরান উল্লা বাবুর এধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ওসি দারুস সালাম তোফায়েল আহমেদ সকল প্রকার সহায়তা করেন মর্মে উপ পুলিশ কমিশনার, মিরপুর জোন, ঢাকা, পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি, ঢাকা এবং আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের কপি ও আদালতে দায়ের করা মামলার কপি এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত ইমরান উল্লা বাবুর বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে কোন প্রকার বক্তব্য দিতে রাজি হন নাই এমনকি বিষয়টিকে কোন গুরুত্বই দেন নাই। ৩০-০১-২০২১ ইং বেলা ৩.৪৯ ঘটিকায় ওসি দারুস সালাম তোফায়েল আহমেদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ওসি তদন্ত রিসিভ করেন এবং বলেন ওসি সাহেব ছুটিতে আছেন।

ওসির সাথে কিভাবে যোগাযোগ করা যাবে জানতে চাইলে ওসি তদন্ত বলেন তার ব্যক্তিগত নম্বর তার জানা নাই। মামলার বাদির নিকট থেকে জানা যায় চাঁদাবাজি করে ইমরান উল্লা বাবু কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে নাকি এর সত্যতা পাওয়া যাবে।  প্রতি মাসে তার আয় নাকি লাখ লাখ টাকা। এই ব্যপারে অপরাধ বিচিত্রার তদন্ত চলছে। আগামি সংখ্যায় বিস্তারিত থাকছে।  

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 × five =