জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং, হালিশহর ও বন্দর থানা এলাকায় পরিচালিত অভিযানে ফ্রিজে কাঁচ মাংসের সাথে বেকারি সামগ্রী রাখায় রাব্বি ফুড প্রোডাক্টসসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ১,১৫,০০০ (একলক্ষ পনের হাজার টাকা) প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ কেক, অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্ক, লেবেল বিহীন রং-ফ্লেভার ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ধ্বংস করা হয়। আজ মংগলবার ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা হতে এপিবিএন, ৯ এর সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো)পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে ডবলমুরিং থানার বেপারিপাড়ার ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ধ্বংস করা হয়। ফার্মভিলে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ কেক ও অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্ক রাখায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
হালিশহর থানার ছোটপোলের রাব্বি ফুড প্রোডাক্টসকে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন, লেবেলবিহীন রঙ ও ফ্লেভার ব্যবহার এবং একই ফ্রিজে কাঁচ মাংসের সাথে বেকারি সামগ্রী সংরক্ষণ করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রয়েল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে নোংরা পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ, জমানো পানিতে তৈজসপত্র ধৌত করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর এলাকার হক ফুডসকে নোংরা ত্রিপলে মেঝেতে রেখে টোস্ট বিস্কুট মোড়কজাত করায় এবং লেবেল বিহীন রং-ফ্লেভার ব্যবহার করায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।