যুবককে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করে থানায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

0
583

স্টাফ রিপোর্টারঃ রবিবার  (১৪ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন  করেছেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার, সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, একই বাড়ির প্রতিবেশী আলী হোসেন ওরফে খোকনের সাথে বাড়ির সীমানা নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল। যা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম্য সরদারদের মাধ্যমে সঠিক সীমানা নির্ধারণ করে মিমাংসা করে দেন। কিন্ত গত  শনিবার (০৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাধবপুর থানার অন্তর্গত কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই দেবাশীষ তালুকদার তার ফোর্স আমাদের বাড়িতে যান এবং এসে তার বাবা আব্দুল হক বাড়িতে আছেন কিনা জানতে চান। তার বাবা বাড়ি না থাকায় জসিম নিজেই ঘর থেকে বের হন, ঘর থেকে বের হওয়া মাত্রই এস আই দেবাশীষ তালুকদার তাকে হ্যান্ডকাফ লাগানোর কথা বলেন তার ফোর্সকে। তখন জসিম তার অপরাধ কি জানতে চাইলে তিনি তাকে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে বলেন ‘আমার নির্দেশ অমান্য করে বাড়ির নির্মাণ করছস, এখন বুঝবি আমি কি জিনিস,বলে তাকে জোর জবরদস্তি করে গ্রেপ্তার করতে উদ্যত হন,

তখন জসিমের ভাই মোক্তার হোসেন (৩০) এগিয়ে এলে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন এসআই দেবাশীষ তালুকদার। এক পর্যায়ে পরিবারের মহিলারা এগিয়ে এলে তাদেরকেও ওই এসআই গালিগালাজ করে টানা হেচড়া করে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত করেন,

জসিম আরও অভিযোগ করেন, আইনের লোক হয়ে এসআই দেবাশীষ তালুকদার তার ফুফু মারুফা বেগম (৩৫) এর গায়ে হাত তোলেন। ভাবী জেসমিন আক্তার (২৫) এগিয়ে এলে তাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। এমনকি পুলিশের  নির্যাতনের হাত থেকে তার বৃদ্ধা মা সুফিয়া আক্তারও বাদ যাননি। এ সব কিছুর কিছু ভিডিও ফুটেজ রয়েছে বলে তারা দাবি করেন,

সংবাদ সম্মেলনে জসিম আরও জানান, সেদিন এসআই দেবাশীষ তালুকদারসহ পুলিশ সদস্যরা এ বিষয়ে কেউ মুখ খুললে বাড়ির লোকজনকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দিবেন বলে হুমকি প্রদান করে তাকে মাধবপুর থানায় নিয়ে এসে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতন করেন,কোন ওয়ারেন্ট বা অভিযোগ ছাড়া তাকে গ্রেপ্তার করায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম কামাল ও ওয়ার্ডের সদস্যকে জানালে তারা থানায় আসেন।

সে সময় এসআই দেবাশীষ তাদেরকে গালিগালাজ  করে খারাপ আচরণ করেন,নির্যাতনের ফলে তার অবস্থা খারাপ হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরের দিন হাসপাতাল থেকে নিয়ে দুপুরে কোর্টে চালান করে।

পরে তিনি জামিনে কারাগার থেকে বের হন এবং হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন। উল্লেখ্য এস আই দেবাশীষের সাথে সেদিন এএস আই গোলাম মোস্তফা ও এএস আই রানা আহমেদসহ একদল পুলিশ ছিল

তিনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে এখনোও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন, উল্লেখ্য, এস আই দেবাশীষ তালুকদার এর বিরুদ্ধে আরও  অভিযোগ রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × 1 =