পটুয়াখালী উপকুলীয় প্রতিনিধি: সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জেলে ও ট্রলার মাঝিদের এক সচেতনতামুলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে মৎস্য বন্দর আলীপুরস্থ ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতি লি: অফিস কক্ষে এনহ্যান্সড্ কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশ ইকোফিস-২ এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে শতাধিক জেলে, মাঝি ও ট্রলার মালিকরা অংশ গ্রহন করেন। ওয়ার্ল্ড ফিস “ইকোফিস-২” এর সহকারি গবেষক সাগরিকা স্মৃতির সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, লতাচপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, সাধারন সম্পাদক কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা খানবাদ ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক খান এ রাজ্জাক, কলাপাড়া ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতি লি: এর সভাপতি মো.মন্নান মাঝি, সাধারন সম্পাদক সিদ্দিক মাঝি, সাবেক সভাপতি মো.নূরু মাঝি, জেলে শহিদুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সমুদ্রে মাছের পাশাপাশি হাজারও রকমের কীট পতঙ্গ ও জলজ প্রানী রয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জাল ও মশারী দিয়ে এসব সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র মেরা ফেলা হচ্ছে। ধ্বংস করা হচ্ছে ছোট মাছ ও মাছের ডিম। এতে সমুদ্রের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে।
বিলুপ্ত হচ্ছে বিরল প্রজাতির জলজ প্রানী এবং কীট পতঙ্গ। তাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জাল ও মশারী দিয়ে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকার আহবান জানান বক্তারা। এসময় তারা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র রক্ষায় জেলেদের সহযোগিতা কামনা করেন।
কর্মশালায় উপস্থিত জেলেরা অভিযোগ করেন সাগরে ৬৫ দিনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা মেনে আমরা সাগরে মাছ শিকার করছি। কিন্তু পাশ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের দেশের জল সীমানায় ঢুকে মাছ শিকার করছে। এর প্রতিবাদও করেছি।
কোনই লাভ হয়নি। গভীর সমুদ্রে নৌ বাহিনীর টহল জোরদার করা হলে ভারতীয় জেলেরা মাছ শিকার করতে সাহস পেতো না। এসময় জেলেরা পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে মিল রেখে অবরোধ দেয়ার দাবি জানান।