অপরাধ বিচিত্রাঃ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা রণচণ্ডী ইউনিয়নের অবিলের বাজার রণচন্ডী শামসুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবদুল মতিনের নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। মতিন তার নিয়োগ কালীন সময় প্রতিষ্ঠানটির স্বীকৃতি না থাকায় ওই স্বীকৃতির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে নিয়োগ নেন । নিয়োগ জালিয়াতির বাণিজ্যের মাধ্যমে জড়িয়ে পড়েন নানা অনিয়ম আর প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করে বানিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকার অটো মেশিন। অদ্য মঙ্গলবার (৬ জুলাই )২০২১ ইং তারিখেব্যবস্থাপনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ নবীবুর রহমান বলেন, আমি গত ১১/০২/২০২১ ইং তারিখে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সহ অনেক জায়গায় অভিযোগ করেছি। আমার অভিযোগের যেন কোনো তদন্ত না হয় সেজন্য মোঃ আব্দুল মতিন অনেক তৎপর ছিল। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আব্দুল মতিনের নিয়োগ জালিয়াতির তদন্তের নিমিত্তে উপজেলা নির্বাহি অফিসার, কিশোরগঞ্জ ,নীলফামারী স্যারকে তদন্ত দিয়েছেন।
যাহার স্মারক নং ৫৭.২৫.০০০০.০১০.০৭.০০২.১৬.৬৭৯ তারিখ ১৬/০৬/২০২১ ইং । তাছাড়া গত ২৮/০৩/২০২১ইং তারিখে জেলা শিক্ষা অফিস নীলফামারী স্যার কে জেলা প্রশাসক নীলফামারী স্যার তদন্তের জন্য পত্র দেন যার স্মারক নং ০৫.৪৭.৭৩০০.০২০.০৪.০৫৮.২১-৭০। অদ্যবধি কোনো তদন্ত হয়নি।
আমি সঠিক তদন্তের অপেক্ষায় আছি ।আমি আশা করছি উপজেলা নির্বাহি অফিসার ,কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী স্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন বলে জানায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আব্দুল মতিন নিয়োগ নেওয়ার স্বার্থে ভারপ্রাপ্ত সুপারের যোগসাজশে ভুয়া স্বীকৃতি নবায়নের কাগজ তৈরি করে ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধি নিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। (যাহার স্মারক নংরিক/নবায়ন/২২৫২০১২৫০৩২১/নথি নং৫২২২) তারিখ ২৩/১০/২০১৮ইং। এ বিষয়ে সুপার আবদুল মতিনকে একাধিকবার ফোনে কল দিলে রিং হয় কিন্তু ফোন রিসিভ করেনি।