সেই ইউএনওকে ওএসডি, এলাকায় আনন্দের বন্যা

0
689

মজিববর্ষ উপলক্ষ্যে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ করা ঘর নিয়ে অনিয়ম ও দু’র্নীতির সত্যতা পাওয়ায় আমতলী উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা মো. আসাদুজ্জামানকে বিশেষ ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল ফাতেহ মোহাম্ম’দ শফিকুল ইস’লাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে ওএসডি করা হয়। এছাড়া তার বি’রুদ্ধে বিভাগীয় মা’মলা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সোমবার রাতে ইউএনওকে ওএসডির খবরে আমতলী সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দের ব’ন্যা বইছে। জানা গেছে, মো. আসাদুজ্জামান গত বছর ৪ সেপ্টেম্বর আমতলীতে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে দ্বিতীয় ধাপে আমতলীর হতদরিদ্রদের ৩৫০টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই প্রকল্পের ঘরপ্রতি ৩০-৪০ হাজার টাকা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান এমন অ’ভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। ঘরপ্রতি বরাদ্দে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা থাকলেও তিনি তার প্রতিনিধির মাধ্যমে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করেন।

এছাড়া তার কার্যালয়ের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কা’ম কম্পিউটার অ’পারেটর মো. এনামুল হক বাদশার নিজ গ্রাম হরিদ্রবাড়িয়ায়ায় টাকার বিনিময়ে ধনাট্য ব্যক্তিদের ৩০টি ঘর বরাদ্দ দেন ইউএনও।

ইউএনও আসাদুজ্জামান ঘর নির্মাণে সুজন মু’সল্লি ও হাবিব গাজী নামের দুজনকে প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেন। তারা ঘর প্রতি ৩০-৪০ হাজার টাকা আদায় করে এনামুলের মাধ্যমে ইউএনওর হাতে পৌঁছে দেন। যারা টাকা দেন তাদের বাড়িতেই পৌছে যায় ঘর নির্মাণের নিম্নমানের সামগ্রী।

ইউএনও ঘর বরাদ্দের অনিয়ম ও দু’র্নীতির বিষয়ে গত ২৫ এপ্রিল থেকে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন নজরে আসে বরগুনা জে’লা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের। তাৎক্ষণিক তিনি ত’দন্ত কমিটি গঠন করেন।

ওই ত’দন্ত কমিটি ঘরের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম, দু’র্নীতি ও টাকার বিনিময়ে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ঘর দেয়ার সত্যতা পায়। এরপর বরগুনা জে’লা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান ওই প্রতিবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দেন।

ওই প্রতিবেদনের আলোকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল ফাতেহ মোহাম্ম’দ শফিকুল ইস’লাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে আমতলীর ইউওনও মো. আসাদুজ্জামানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওএসডি) করা হয়।

এছাড়া তার বি’রুদ্ধে বিভাগীয় মা’মলা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। একই অ’ভিযোগে গত ৫ মে তার কার্যালয়ের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কা’ম কম্পিউটার অ’পারেটর মো. এনামুল হক বাদশাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন জে’লা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।

এদিকে সোমবার রাতে ইউএনও আসাদুজ্জামানকে ওএসডির খবর আমতলীতে জানাজানি হলে সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দের ব’ন্যা বইতে শুরু করে।

বরগুনা জে’লা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমতলীর ইউএনও মো. আসাদুজ্জামানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভা’রপ্রাপ্ত কর্মকতা করার আদেশের কপি হাতে পেয়েছি। আদেশ মোতাবেক তাকে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

সূত্রঃ যুগান্তর

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × one =