দুর্নীতির ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে, আশুগঞ্জে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের ইন্ধনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান। গতকাল ১৮ই সেপ্টেম্বর শনিবার বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয় টিম ও জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় টিমের সরেজমিন পর্যবেক্ষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
স্কুলের জীর্ণশীর্ণ এবং রেজিস্ট্রার থেকে স¤প্রতি সরকারি করণে উন্নীত হওয়া স্কুলটিতে নেই কোন প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য অনুদান। গত অর্থবছরে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অনুদান পেয়েছেন মাত্র ৭০ হাজার টাকা। প্রকল্পের টাকা যথা নিয়মে ব্যয় করা হয়েছে মর্মে শরীফপুর পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন।
তবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তা স্পষ্ট বিভিন্নজনের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে।
বিএমএসএফ-ও- জেএসকেএফ এর পর্যবেক্ষণ টিমকে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, তিনি প্রথমে বিষয়টি শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে জানালে তারাই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। তবে মামলার আসামী আশিকুর রহমান রনি বিএমএসএফ জানিয়েছেন, আশুগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার করোনা পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে বিভিন্নসময় অনুরোধ করেন। তারই প্রেক্ষিতে আমরা বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেছি। আমরা তার কথা অনুযায়ী সেখানে গিয়েছিলাম, তবে চাঁদাবাজির কোন ঘটনাই ঘটেনি।
তবে স্থানীয় কিছু রাক্ষুসে সাংবাদিক ও শিক্ষক নেতৃবৃন্দের ইন্ধনে পরিকল্পিত ঈশারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আলী আজিম সম্পাদিত সাপ্তাহিক সত্যের দিগন্ত পত্রিকায় শিক্ষা বিভাগ নিয়ে একাধিক দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের কারণে তাকে আজ মিথ্যা মামলায় কারাবাস করতে হচ্ছে। ওই সাংবাদিক দ্বয় আশুগঞ্জের শিক্ষা উন্নয়নের বিভিন্ন দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের রেশ ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয় জানিয়েছেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।
উল্লেখ্য আশুগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষায় লক্ষ লক্ষ টাকা উন্নয়নের নামে আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির চিত্র স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিকবার প্রকাশ করা হয়। সাপ্তাহিক সত্যের দিগন্ত ১১ই মে হেড লাইন ছিল – ২ লক্ষ টাকার হরিলুট, এবং ১৮ই মে হেডলাইন ছিল – প্রায় ১০ লাখ টাকা ঘুষ আদায়, ১লা জুন হেডলাইন ছিল- বঙ্গবন্ধু- প্রধানমন্ত্রীর ছবি বানিজ্য লক্ষ টাকা (শিক্ষা অফিসারের নামে কানের দুল সেলোয়ার-কামিজ উপহার) আর এই ঘটনায় সাথে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চলতি দায়িত্বে সাহারা ও শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জড়িত যা সংবাদে উল্লেখ রয়েছে তারই বহি:প্রকাশ ঘটাতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ সাজানো হয়।
পর্যবেক্ষণ টিমে উপস্থিত ছিলেন, পর্যবেক্ষণ টিমের প্রধান বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর, সহ- সভাপতি সোহেল আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন নিলু, ইকবাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক, এম এ আকরাম, আমিনুল ইসলাম আহাদ, কোষাধ্যক্ষ শারমীন সুলতানা মিতু, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য ও ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি শিবলী সাদিক খান,সিনিয়র সহ সভাপতি ঢাকা উত্তর সেহলী পারভীন, ভৈরব শাখার সভাপতি সাবির হোসেন রাজু, নাসির নগর শাখার সভাপতি আব্দুল হান্নান।
জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আল-আমীন, জেএসকেএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক-জহিরুল ইসলাম সাগর, জেএসকেএফ আশুগঞ্জ উপজেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক-শফিকুল ইসলামন ও সাইফুল ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপন, আমিনুল ইসলাম আহাদ, নাছির উদ্দীন।
বিএমএসএফ ও জেএসকেএফ এর পক্ষ থেকে মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে অবিলম্বে সাংবাদিক আলী আজমের নি: শর্ত মুক্তির দাবি করেন।
বিকেলে ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে ১৪ দফা বাস্তবায়নে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।