গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের দেশীপাড়া এলাকার হাসেম মিয়া হাসু দীর্ঘদিন ধরে সাবেক স্ত্রীর অত্যাচারে মানষিক সমস্যায় ভূগছেন। হাসু মিয়ার অভিযোগ বিগত ইং- ১৭/০৩/২০০৮ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন, ২৫ নং ওয়ার্ডের চাপুলিয়া গ্রামের মোঃ আঃ লতিফ ও শিরিনা বেগম এর মেয়ে শিমা আক্তারকে। হাসু মিয়া এক পর্যায়ে জানতে পারেন যে, উক্ত শিমা আক্তারের পূর্বে বিবাহ হইয়াছে। শিমা আক্তারের পূর্বের সংসারের একটি কন্যা সন্তান রহিয়াছে এবং সে কন্যা সন্তানটি বর্তমানে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। হাসু মিয়ার সাথে বিয়ের ২বছর হাসু মিয়া ও শিমা আক্তারের ঘর সংসার করাকালে জীবন যাপন ভালোই চলছিল এবং তাহাদের মোঃ ইমাম আলী নামে ৮বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে শিমা আক্তারের মা ও বড় বোন চাদ নাহার ও তার স্বামী হাফিজ মিয়া কিছুদিন পরপরই তাদের ভাড়া বাসায় যাতায়াত করত।
তাহাদের মধ্যে শিমা আক্তারের প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার কথাবার্তা হইত। শিমা আক্তারের প্রথম স্বামীর অবস্থা ভালো, সাভারে বাড়ী আছে। হাসু মিয়ার সাথে বিয়ের কয়েক বছর আগেই জেএমবির আসামী হয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী আছে বলে জানতে পারে হাসু মিয়া। উপরোক্ত বিষয়াদি জানার পরই হাসু মিয়ার সংসারে মাঝে মধ্যে ছোট খাটো বিষয় নিয়ে তাহাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
যা কিনা এক পর্যায়ে বড় ধরনের ঝগড়ার রূপ নেয়। হাসু মিয়া পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। হাসু মিয়ার ঔরষে ছেলে সন্তান জন্মের পর শিমা আক্তার শিশু বাচ্চাকে ফেলে রেখে চলে যেত চট্টগ্রাম। ফিরে আসত ১/২ মাস পর। এই ভাবে কিছুদিন চলার পর হাসু মিয়া শিমা আক্তারকে ঘরে তুলতে না চাইলে চলে পুলিশি হয়রানী। হাসু মিয়ার বাড়ীতে চলে বিচার শালিস। কোন ভাবেই সংসার ঠিক করতে পারে না হাসু মিয়া। এদিকে সন্তান বড় হয়েছে। হাসু মিয়া এসব ভাবতে ভাবতে এক সময় মানসিক সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন। গত ইং- ১৪/১২/২০১৯ তারিখ হাসু মিয়ার শ্বশুড় হাসু মিয়ার বাড়ীতে এসে ভালোভাবে থাকতে শুরু করেন। ইং- ১৭/১২/২০১৯ তারিখ হাসু মিয়া কর্মস্থলে চলে যাওয়ার পর হাসু মিয়ার ঘরের টাকা স্বর্ণালংকার ও ব্যাংকের বই সহ নিয়ে ঘরে তালা দিয়ে চলে যায় কাওকে কিছু না বলে।
আবার চলে একাধিক বিচার শালিস। এরপরও কোন ভাবে শিমা আক্তার আসতে রাজি হয় না। পরবর্তীতে গত ০৪/০৩/২০২০ তারিখ হাসু মিয়া শিমা আক্তারকে তালাক প্রদান করিয়া আপোষ মিমাংসা করে নেন। ঐ সময় স্থানীয় ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তানভির ও মহিলা কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার সহ স্থানীয় গন্যমাণ্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এরপর গত ইং- ২০/০৬/২০২০ তারিখে যৌতুক বিরোধ আইনের ধারায় হাসু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমা আক্তার। যাহাতে শিমা আক্তারের একটি ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করা হয়।
ইহাতে কিছু করতে না পেরে ইং- ২৩/১১/২০২১ তারিখ হাসু মিয়ার নামে থানায় একটি অভিযোগ দিয়ে বাড়ীতে পুলিশ পাঠিয়ে দেন শিমা আক্তার। ইং- ২৭/১১/২০২১ তারিখ সকাল ০৭.৩০ ঘটিকার সময় হাসু মিয়া কর্মস্থলে যাওয়ার পথে শিমা আক্তার ও বড় বোন চাঁদ নাহার এবং হাফিজ মিয়া একত্রিত হয়ে হাসু মিয়াকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে বলিয়া হাসু মিয়া জানান। বর্তমানে হাসু মিয়া অসহায় ও মানসিক ভাবে বিষন্নতায় জীবন যাপন করিতেছেন। হাসু মিয়া প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন যে, আমার মত যেন কোন পুরুষের জীবন এমন না হয় ।