অপরাধ বিচিত্রকে মারন হুঙ্কার, কিশোরগঞ্জের কুখ্যাত রাজাকার আঃ মান্নান বহাল তবিয়তে

0
435

তারাগঞ্জের আশির্বাদ, নুর মোহাম্মাদ বদরগঞ্জ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন। নীলফামারী জেলা কিশোরগঞ্জ উপজেলাধীন ৪নং বাহাগিলী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বসুনিয়াপাড়ার কুখ্যাত যোদ্ধাপরাধী তালিকাভুক্ত রাজাকার আঃ মান্নান অপরাধ বিচিত্রার হাত-পা ভেঙ্গে গুরিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়েছে। ১৯৭১ সালে এই তালিকাভুক্ত কুখ্যাত রাজাকার আঃ মান্নান নির্বিচারে গনহত্যা, গনধর্ষন, অগ্নিসংযোগ, লুন্ঠন, মুক্তিযোদ্ধাদের ধরিয়ে দেওয়া, চুরি-ডাকাতি, সম্পত্তি দখল সহ বিভিন্ন অশ্লীলতা কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কিশোরগঞ্জ থানা কমান্ড গত ২৩/০৩/২০১৭ইং যুদ্ধাপরাধী তালিকায় আঃ মান্নান এর ক্রমিক নং ৮১ তে প্রকাশ করেন। গত কয়েক দিন পুর্বে অপরাধ বিচিত্রার দেখা পেলে তার বিরুদ্ধে লেখার সাহস কে দিয়েছে, প্রথমে বাক-তর্ক, এক পর্যায়ে তার পা ছুয়ে ক্ষমা না চাহিলে আবারও ১৯৭১ শুরু করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। গত দুই বছর ধরে সাবেক ইউ,পি সদস্য ৪নং বাহাগিলী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বসুনিয়াপাড়ার জনাব মোবারক আলী তার ভাইকে হত্যা করেছে এই রক্ত পিপাসু রাজাকার আঃ মান্নান। এর বিচার দাবি এবং তার নামের তালিকা মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে সংরক্ষনের জন্য মাননী প্রধান মন্ত্রীসহ দেশের ২৪টি বিশেষ স্থানে আবেদন অব্ব্যাহত রেখেছেন। ১৭৯১ইং সাল বাংলা ১৯ শে আষাঢ় বৃহঃপতিবার ভোর অনুমান চার ঘটিকার সময় দুগ্ধ পোষ্য ১৩ মাসের শিশুটি সহ এই রাজাকার আঃ মান্নান ও তার পিতা রাজাকার আবেদ হাজি এর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে সংরক্ষিত তালিকায় ক্রমিক নং ৭৪২। তার জ্যাঠা রাজাকার চাটি মামুদ ওরফে ছবির তালিকায় ক্রমিক নং ৭৪৫, তার চাচা রাজাকার কজাবর ওরফে তফেল তালিকায় ক্রমিক নং ৭৪৬। সকলের পিতা মৃত ওসর। এরা এলাকায় খান সেনা নিয়ে এসে ৯টি তাজা প্রান গুলি করে নিস্পান করে দেয়। এদের নেতৃতে এলাকায় গঠন করে রাজাকার, আলবদর, আলসামস বলে এলাকা বাসীর সুত্রে জানা যায়। জনাব মোবারক আলীর অভিযোগে পুলিশ হেড কোয়াটার ঢাকা আই,জি,পি এর স্মারক নং- ৪৪,০১,০০০০,০৩৬,০৫,০১৬,২০১৯-৩৭৭ তাং ১১-০৩-২০২১ এবং পলিশ সুপার এর কার্যালয় নীলফামারী এর স্মারক নং- ৯২৫ তাং- ২২-০৩-২০২১ইং সুত্রোক্ত স্মারক সংক্রান্ত (মোঃ রুবেল আল হাসান) এ,এস,আই (নিবন্ধন) বিপি-৮৯০৮১১৯২২১ কিশোরগঞ্জ থানা নীলফামারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দপুর সার্কেল নীলফামারী কার্যালয়ে গত ১৪-০৪-২০২১ইং সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় জিজ্ঞাসা বাদের জন্য হাজির থাকিতে নোটিশটি জনাব মোবরক আলীকে হস্তান্তর করেন। এদিকে গত ২৯-০৬-২০২০ইং এ,এস,আই জনাব আব্দুল ওয়াহাব থানা কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী। ১৯৭১ইং সালে রাজাকার আঃ মান্নান  এর পৈষাচিকতা ও বর্বরতার প্রত্যক্ষ দর্শীর মোট ৪জন স্বাক্ষীর জবান বন্দী গ্রহন করেন। ১/ জনাব হাবিবুর রহমান, ২/ জনাব মোঃ মোরাদ হোসেন, ৩/ আঃ রহমান ও ৪/ বাবুল হোসেন। জনাব মোবারক আলী অপরাধ বিচিত্রাকে জানান ৪জন স্বাক্ষীর জবান বন্দীর কোনো নকল আমাকে দেয় নাই। এদিকে অভিযোগের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দপুর সার্কেল গত ০৮-০৪-২০২১ইং ঘটনা স্থলে এসে রাজাকার আঃ মান্নান এর জবান বন্দী গ্রহন করেন। ১/ আঃ মালেক ওরফে নুলু, ২/ আঃ রহিম ওরফে সুলু, ৩/ ওলিয়ার সকলে পিতা মৃত রাজাকার আবেদ হাজি, ৪/ রফিকুল পিতা মৃত রাজাকার চাটি মামুদ। গত ১৪-০৪-২০২১ইং সার্কেল মহাসয় তার নিজ কার্য়ালয়ে বসে বাদি জনাব মোবারক আলী ও মোছাঃ ওমেদা খাতুন এর জবান বন্দী গ্রহন করেন। অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজাকার আঃ মান্নান এর পরিবারে মোট ৪জন সরকারী চাকুরিতে কর্মরত আছেন। আর্মিতে, বি,জে,বিতে, বি,এস কৃষি, পরিবার পরিকল্পনায়। যাহার প্রভাবে তদন্ত কর্মকর্তা মহাদয় হারিয়ে গিয়ে তদন্তের প্রতিবেদন উল্টো দিকে চালিয়ে- কপালে তিলক পরে সাধু বেশ ধারন করে বসে আছেন। এদিকে অভিযোগকারী জনাব মোবারক আলী জীবনাসঙ্কায় দিনাতি পাত করিয়াও তার আর্তনাত অব্ব্যাহত। আমার পক্ষে সত্য স্বাক্ষীর নকল চাই এবং বিচার বিভাগীয়, র‌্যাব অথবা পি,বি,আই দ্বারা পূর্ন তদন্ত চাই। এদিকে রাজাকার আঃ মান্নান এর রক্ত জমাট চোখে ও বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকিতে অপরাধ বিচিত্রার কলম চিরতরে বন্ধের উপক্রম। চোখ রাকুন ফলোআপ চলবে……….

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − 3 =