১২ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ১২ জন বিশেষ অবদানে সম্মাননা প্রদান করলেন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের পক্ষে লিপি ওসমমান

0
512

১২ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ১২ জন বিশেষ অবদানে সম্মাননা প্রদান করলেন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের পক্ষে লিপি ওসমমান অপরাধ রিপোর্ট : ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় নারায়নগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের নিচ তলার অডিটরিয়াম হল রুমে জাতীয় সাংবাদিক সংগঠন ও জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের পক্ষ হতে ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সরকারী তোলারাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর.ড.শিরিন বেগম। উদ্ভোধক হিসেবে উপন্থি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শামীম খান। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকার সম্পাদক,দৈনিক দেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি,জেলা প্রজন্মলীগের সভাপতি খোঃ মাসুদর রহমান দিপু ও সাধারণ সম্পাদক জহির তালুকদার।

 বিশেষ অতিথি হিসেবে উপিস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ জাকিরুল আলম হেলাল, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন এর আহবায়ক এস এম মোর্শেদ, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নুর ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুব মহিলালীগের এর সাধারণ সম্পাদক মনিরা সুলতানা মনি ও কানাডা অন্টারিও আওয়ামী। এছাড়া ১২ জন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সম্মানা গ্রহন করেন এডভোকেট নুরুল হুদা (জেলা কমান্ডার নারায়নগঞ্জ), মোঃ শাহজাহান ভুইয়া(জুলহাস) উপজেলা কমান্ডার, নুুর হোসেন মোল্লা (জেলা কমান্ডার), বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ নূর উদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন ( সহকারী কমান্ডার) বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুরাদ হোসেন বাদল, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোঃ ইকবাল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম আজহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রমিজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ সালাম (জেলা সহাকারী কমান্ডার)। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রজন্মীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতিসাংবাদিক সাইমুন ইসলাম,সহ সভাপতি ও ২২,২৩ ও ২৪ নং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ডলি বেগম, সহ সভাপতি আবদুল মান্নান খান বাদল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শামল দাস, মহানগর মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের সভাপতি এস এম আবু বক্কর সিদ্দিকি, সাধারণ সম্পাদক কাবির হোসেন, সহ সভাপতি স্বর্নালী।

 বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি লিপি ওসমান তিনি বলেন, আজ আমরা যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করছি আমার কাছে মনে হয় আমি বিণয়ে মাথানত হয়ে তাদের স্যালুট করছি। কারণ, যতবার ভাবি বাংলাদেশ, ততবার ভাবি মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এ সন্তানরা এখনো পর্যন্ত যে সম্মান তারা পায় তা আগে কখনো পায়নি। সেদিন নিরস্্র সেই মানুষরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঝাপিয়ে পড়েছিলো এ দেশকে রক্ষা করার জন্য। তাদের প্রতি আমাদের চির কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। সালমা ওসমান লিপি আরো বলেন, এ স্বাধীনতা যুদ্ধে যে মা তার সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য পারমিশন দিয়েছিলো। আমার চোখে সেও মুক্তিযোদ্ধা।

 যারা নির্যাতিত হয়ে তখন শহীদ হয়েছিলো তারাও আমার চোখে মুক্তিযোদ্ধা। সেদিন তারা নির্ভিকভাবে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন বলে আজ আমরা স্বাধীন বাঙ্গালী হিসেবে এখানে বসে মাইকে কথা বলতে পারছি। এই যোগ্যতা আমাদেরকে যারা দিয়ে গেছেন। তাদেরকে কিভাবে আমরা অপমান করি? অসম্মান করি? তাহলে তো নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলতে হবে। যেটা আমাদের ধর্ম বলে, যেটা আমাদের সমাজ বলে। অধ্যাপিকা শিরিন বেগম বলেন অসুস্থ শরীর নিয়ে ঢাক থেকে ছুটে এসছে মুক্তিযুদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সেই সাথে আমি এই অনুষ্ঠানের সভাপতি। তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এই মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ আমার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিলো সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশক্রমে ২০০৮ /৯ এর পরে। তিনি বক্তেব্যে আরো বলেন এই নারায়ণগঞ্জে বায়তুল আমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সৃস্টি হয়েছিলো। স্মৃতিচারণ করেন এ কে এম সামসুজোহা সাহেবের কথা,  গর্ভা নাগিনা জোহার কথা, প্রয়াত নাসিম ওসমানের কথা। তিনি শামীম ওসমানের কথা তুলে ধরে বলেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগে তার অবদান অপরিসিম। তিনি আরো বলেন বিজয়ের মাস মুক্তিযোদ্ধাদের মাস। তিনি অনুষ্ঠান থেকে রাজনীতিতে বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা গ্রহন করেন প্রধান অতিথি সালমা ওসমান লিপির কাছ থেকে। এ সময় নারী নেতৃত্বে বিশেষ অবদান রাখায় প্রধান অতিথি সালমা ওসমান লিপি ড.শিরিন বেগমের কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহন করেন।

 অনুষ্ঠানের আয়োজক সাংবাদিক দিপু তার বক্তেব্যে বলেন স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখিনি তবে স্বাধীনতাকে বুকে ধারণ করেছি মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমার জন্ম হলেও আমরা যারা ৭১,৭৫ এর পর বেড়ে উঠেছি তারা মুক্তিযুদ্ধ না দেখলেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বেশি বেশি করার জানার চেষ্টা করেছি। স্কুল কলেজে মুক্তি যুদ্ধের অনেক ইতিহাস জেনেছি, জেনে মনে হয়েছে আমি নিজেই যেনো মুক্তিযুদ্ধে ছিলাম। ফিদাল কেস্টো বলেছেন আমি হিমালয় দেখিনি তবে বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি।

বাংলার মানুষ হিমালয় না দেখলেও যার জন্ম না হলে এই বাংলা স্বাধীনতা আসতোনা ,যার সৃস্টি না হলে হয়তো আজ আমরা বাংলায় কথা বলতে পারতাম না, সেই মহান নেতা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে অনেকেই দেখেছেন তাই আমি আজ এই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে শস্ত্রর্ধ ছালাম জানাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এই নারায়ণগঞ্জে এ যাবত অনেক অনুষ্ঠান করেছি কিন্তু ছোট বেলা থেকেই একটি ইচ্ছা ছিলো যদি কখনও সুযোগ আসে তাহলে যাদের জন্য আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননার অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো। আজ আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দিয়েছে শ্রদ্ধেয়া শিরিন আপার জন্য, লিপি ভাবির জন্য এ কারনে আমি তাদের কাছে কৃতঞ্জতা প্রকাশ করছি।-

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 + 1 =