0
276

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা ভাবছি না

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে যতদিন সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার চেষ্টা করবোতবে আজই জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে পর্যালোচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে যদি প্রয়োজন হয় অবশ্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে।রোববার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে সাভারের খাগান এলাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।দীপু মনি বলেন, দেশে করোনার সংক্রমন বেড়েছে। ইতিমধ্যে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা ভেবেই নিয়েছিলাম করোনা চলে গেছে। যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনায় বিপর্যস্ত ছিল তখন বাংলাদেশের অবস্থা খুবই ভাল ছিল। আমাদের আত্মবিশ্বাস জন্ম হয়েছেলি যে করোনা আমাদের দেশে নেই। প্রধান মন্ত্রী সবাইকে সতর্ক হতে বলছেন। আমরা বিশ্বাস করি সবাই আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবো।

ভর্তি পরিক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ দানের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি হবার জন্য পরিক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হলে তাদের দ্বিতীয়বার পরিক্ষা দেবার সুযোগ দেয়া উচিত। এটি আমার একেবারে ব্যক্তিগত মতামত। যদিও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের  নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তারা স্বশাসিত, কাজেই তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেই সিদ্ধান্তই  বাস্তবায়ন করবেন। 

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সাথে আমরা আলোচনা করতেও আগ্রহী। শুধু ভর্তির বিষয়ে নয়, আরও কিছু বিষয় রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায়, বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ধরনের পদ্ধতি চালু রয়েছে। যদি সেই পথে আমরা এগুতে পারি তাহলে আমরা যে স্বপ্ন দেখি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো আন্তর্জাতিক মানের করা সেই ক্ষেত্রেও হয়তো কিছুটা অগ্রগতি হবে। তবে আমরা তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারি না।

মাধ্যমিকে নতুন বইয়ে ৩০ টিরও বেশি ভুলের ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক বইয়ে যদি কোন ভুল থাকে সে ভুল আমরা অবশ্যই সংশোধন করবো। অনেক ভুলই হয়, ভুল হলে সেটা ভুলই। তার জন্য কোন এক্সকিউজের ব্যাপার নেই। সে ভুল আমাদের অবশ্যই সংশোধন করতে হবে।   

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ্, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ভারতের সমাজসেবক কৈলাশ সত্যার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সবুর খানসহ আরও অনেকে।এবারের সমাবর্তনে স্প্রিং ২০১৯ থেকে সামার ২০২১ পর্যন্ত সময়কালে ব‍্যাচেলর ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১২১৬৮ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। এছাড়া কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনের জন্য ১২ জন গ্রাজুয়েটকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।  

এছাড়া এ বছর প্রতিষ্ঠানটি দুটি নতুন স্বর্ণপদক (স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী স্বর্ণপদক, শেখ মুজিবুর রহমান স্বর্ণপদক) প্রবর্তন করেছে। দুইজন করে শিক্ষার্থী এ স্বর্ণপদক পাবেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

7 + six =