নারী কেলেঙ্কারি বিতর্কিত ব্যক্তিরা রাজনৈতিক পদের বহাল তদবিরে

0
446

ঈগল টিমঃ গুলশান.বনানী,মহাখালী বেলতলা এরশার নগর  অপরাধ ভেরে গেছে সরকারি  গ্যাস-বিদ্যুৎ হরিলুট  ব্যক্তিরা রাজনৈতিক পদের বহাল তদবিরে। ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অর্থের বিনিময়ে অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী রিকশা চালক বিতর্কিত ব্যক্তিদের পদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিরা করছে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, জায়গা দখল, নারী দিয়ে ফিটিং বাণিজ্য  সহ ধর্ষণের মতো অপরাধেও জড়াচ্ছে তারা।পাড়া মহল্লায় ক্লাব গড়ে তুলে বিচার সালিশের নামে গড়ে তুলেছেন টর্চার সেল। কিশোর গ্যাং বাহিনী গড়ে তুলেছেন বিতর্কিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা  জুনায়েদ মনির। কিছুদিন পূর্বে ছিল ভ্যান চালক । ফিটিং বানিজ্য এই নেতাদের কাছে পুলিশ বাহিনী বড় অসহায়। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় রয়েছেন জোনায়াদ মনির উপরে এমনটাই বলাবলি এলাকা বাসিন্দাদের।      অনুসন্ধানে জানা যায়।২০নং ওয়ার্ড সহ-সভাপতি স্বেচ্ছাসেবকলীগ মাদক সহ গ্রেফতার তিনি জুনায়াদ সভাপতির ঘনিষ্ঠজন ছিল।

    এসব নেতাদের সিমাহীন অপরাধে লাগাম টানা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা। বনানী থানার অন্তর্গত ২০নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের নব গঠিত কমিটির সভাপতি জোনায়েদ মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ধর্ষণ, চাঁদাবাজী, দখল,নারী বাণিজ্য, মেকিং মামলা সহএকাধিক অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক বনানী থানা ফরিদ খান তার হিংস্র থাবা থেকে রেহাই পায়নি। এখন তার  সকল কিছুর জুনায়েদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য পায়তারা করছে জুনায়েদ মনির। এসব অভিযোগ পুরোনো তবুও তাকে আওয়ামী লীগের পদ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। তিনি কড়াইলে অবৈধ গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবসার সাথে জড়িত এবং চিহ্নিত চাঁদাবাজ।   প্রশাসনকে ম্যানেজ করে  আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে এসব অবৈধ কর্মকান্ড করেন দাপটের সাথে।

 কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁর উপর করেন হামলা, ফাঁসিয়ে দেন মিথ্যা মামলায় এমনি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ঘর দখল করে নিয়ে যায়।   সম্প্রতি জোনায়েদ মনিরের নেতৃত্বে হামলার শিকার হয়েছেন সংবাদকর্মী স্বাধীন। এই বিষয় ফোন  দিলে স্বাধীন জানায়, কয়েক দিন আগে হঠাৎ বেলতলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নান্দনিক ক্লাবের জোনায়েদ বাহিনীর ছাত্রলীগ নেতা  আরিফ,  রুমান,শরিফ, আল আমিন, কিছু গুন্ডা আমার মোটরসাইকেল আটকিয়ে হামলা চালায়। সাথে ছিল আমার বন্ধু সুমনের মোবাইল ও মানিব্যাগ কেড়ে নেয় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় গত ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ বনানী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সুমন।অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগে জোনায়েদ মনিরের নামে কড়াইল বেলতলা আদর্শ নগর এলাকার এক নারী নাছিমা আক্তার ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল।

 পরে সেই নারীকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে ওই অভিযোগের মিমাংসা করেন জোনায়েদ মনির। মিমাংসার প্রমাণ প্রতিবেদক এর হাতে রয়েছে।জোনায়েদ বাহিনীর আরেক সদস্য লাইনম্যান সানোয়ার। টিএন্ডটি স্কুলের সামনে থেকে কড়াইল বেলতলা পর্যন্ত ফুটপাতে ভাসমান হকারদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তুলেন তিনি। এ চাঁদার ভাগ যায় প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদের পকেটে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সানোয়ার এক সময় বিএনপির নেতা ছিলেন। বর্তমানে আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে আওয়ামীলীগ নেতা বনে গেছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ৯টি ইউনিট সম্মেলনে সানোয়ার আমতলী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী।

 এদিকে গত ২৬ নভেম্বর, ২০২১ কড়াইল বস্তির চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সিরাজ মন্ডলকে নারায়নগঞ্জের বন্দর থানাধীন মদনপুর এলাকা হতে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করে র্যাব-১১। সিরাজ মন্ডল বনানী থানার অন্তর্গত ২০নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর নব গঠিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং জোনায়েদ এর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মাদকসহ গ্রেফতারের পর ২৯ নভেম্বর বনানী থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর-এর প্যাডে দপ্তর সম্পাদক মুরাদ আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজকে বহিস্কার করা হয়।   অন্যদিকে চাঁদাবাজি, ধর্ষন ও হত্যা চেষ্টা মামলায় বনানী থানা জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক ফরিদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১৬ অক্টোবর, ২০২১ সকালে কড়াইল বস্তির বেলতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ। এঘটনায় ফরিদ খানকে বহিস্কারও করেছে বনানী থানা জাতীয় শ্রমিকলীগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফরিদ খান জোনায়েদ বাহিনীর লোক।সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে ফরিদ খান জানান, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে জোনায়েদরা তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। ……    ( আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ড জুনায়েদ মনির বাহিনীর হাতে নিয়ন্তন হয়ে থাকে।

    (নান্দাইল মানে আতংক )       তথ্য অনুসন্ধানে৷ এই বাহিনীকে দেখা যায়এমন অপকর্ম নেই তারা করেনি। রাজুর সঙ্গে ফোনে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।     কথপোকথনের একপর্যায়ে রাজু আরও জানান, বেলতলা ভাঙাওয়াল বস্তি ও বউবাজার বস্তিতে তার কয়েকটি বাড়ি ছিল। তিন বছর আগে একটি দোতলা আধাপাকা বাড়ি ১৬ লাখ টাকায় তিনশ টাকার স্ট্যাম্প করে দিদার নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন তিনি। এটি সরকারি জায়গা হওয়ায় রেজিস্ট্রি বা দলিল করার কোনো সুযোগ ছিল না। যে কারণে স্ট্যাম্পের ওপর ভিত্তি করেই বস্তির বাড়ি বা ঘর বেচাকেনা হয়। বাড়িটির পাশেই আরও একটি টিনের বাড়ি ছিল তার। সেখানে ঘর সংখ্যা ১৫টি। ভাড়াটেদের পাশাপাশি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাসও করতেন সেখানে। এসব ঘরের বাসিন্দাদের বের হওয়ার রাস্তা দিদারের কাছে বিক্রি করা বাড়ির পূর্ব

দিদার বাড়িটি কেনার পরই এসআই আবু তাহের সহায়তায় ওই রাস্তা বন্ধ করে দেন ।স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুনায়েদ ও তার সহযোগীরা। রাজুর অভিযোগ- রাস্তা বন্ধে সহায়তা করেছিলেন তৎকালীন  সাবেক বনানী থানার এসআই আবু তাহের ভূইয়া। পরে রাস্তা বের করে দেওয়ার নামে তার কাছে আবু তাহের ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। রাজু রাস্তা পাওয়ার প্রত্যাশায় নগদ ২০ হাজার টাকা দেন আবু তাহেরকে। পরে আরও ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। এই টাকা না দেওয়ায় রাস্তা আর পাননি রাজু। বাড়ি টা দখল নিতে এস আই আবু তাহের কে হাত করেন জুনায়েত আবু তাহের  নানান ভাবে হয়রানি করেন রাজুকে যাতে বাড়িৃ  ছাড়তে বাধ্য করতে থাকেন । শুধু তাই-ই নয়, রাজুকে বাড়ি ছেড়ে দিতে হুমকিও দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বাড়িটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন রাজু। বছর দুই-এক আগে দুই লাখ টাকায় ১৫টি ঘর জুনায়েদ নিজের নামে স্ট্যাম্প করে নেন রাজুর কাছ থেকে।অভিযোগের বিষয়ে এসআই আবু তাহের ভূঁইয়া বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে তিনি বনানী থানা থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি হয়েছেন। রাজু নামে ছেলেটির বাড়ির জুবায়ের দখল করেছে আমিও শুনেছি।কিন্তু  রাস্তা বের করে দেওয়ার নামে কারোর কাছ থেকে তিনি টাকা নেননি। এলাকার মানুষের কাছে জানতে  পারি বাড়িটির বিষয়ে জুনায়েদকে তিনি চেনেন। তবে বাড়ি কেনায় জুনায়েদকে তিনি কোনো প্রকার সহায়তা করেননি বলে দাবি করেন। বলেন ‘এতদিন পর আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।ঈগল টিমের অনুসন্ধান চলবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × three =