পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লক্ষীরহাট ও বরকুতিয়ার সংযোগ স্থলে শিববাড়িয়া নদীতে নির্মাণাধীন আয়রণ ব্রীজটি অপরিকল্পিত দাবি করে স্থানীয় নৌযানের মালিক ও জেলেরা মানববন্ধন করেছেন। সোমবার বেলা ১১টায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। তাদের দাবি, ব্রীজটির নির্মাণ কাজ যেভাবে এগুচ্ছে তাতে ওই ব্রীজের নিচ থেকে কোন মাছধরা ট্রলার চলাচল করতে পারবে না। পায়রা বন্দর এবং রামনাবাদ চ্যানেল থেকে উঠে এসে মৎস্য বন্দর মহিপুরে ইলিশ বিক্রি এবং বরফ আনা নেওয়ায় এই সেতু বড় রকমের বাঁধা হয়ে
জেলেরা নির্মানাধীন সেতুটি বর্তমান নকশায় পরিবর্তন এনে আরও অন্তত তিন মিটার উচ্চতার দাবি জানান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগে ভেঙ্গে যাওয়া আয়রণ ব্রীজটির চাইতে নির্মাণাধীন ব্রীজটি নদীর লেভেল থেকে অন্তত ৫ ফুট নিচু। ফলে মাছধরা ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযান ব্রীজের নিচ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচল বিঘিœত হবে। স্থানীয়রা আরও জানান, আয়রণ ব্রীজটিতে যে লোহা ব্যবহার করা হচ্ছে তা পুরোনো। এসব পুরানো লোহা দিয়ে ব্রীজ করলে অচিরেই তা লবনে নস্ট হয়ে যাবে। ব্রীজটি নকসা মেনে করা হয়নি। যেমন খুশি তেমন নির্মাণ করা হচ্ছে।মহিপুরের ধুলাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ জলিল আকন বলেন, আগের ব্রীজটি ট্রলারের ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে। এখন আরও নিচু করে নির্মাণ করা হচ্ছে। নদীর পানির লেভেল থেকে আরও অন্তত ৭ ফুট উচু করার বিকল্প নেই। কলাপাড়ার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মহর আলী এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত আয়রণ ব্রীজের স্থায়ীত্ব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, লবনাক্ত পানিতে আয়রণ ব্রীজ করায় দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। তবে জেলেদের নৌযান চলাচলে বিঘেœর আশঙ্কা কাটাতে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।