ইউক্রেনে বসবাসরত বাংলাদেশীরা কোথায়

0
430

মুন্তাছির রিমন: ইউক্রেনের আকাশে-বাতাসে ক্ষেপনাস্ত্রের কালো ধোয়ায় জন-জীবনে ভয় আর আতংকের এক মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে রাশিয়ার সামরিক হামলার পর সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিরি থেকে উদ্ধারকল্পে প্রতিটি দেশের নাগরিকদের স্ব-স্ব দেশে ফিরে নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আকাশ পথে বিমান চলা-চল বন্ধ করার পর থেকে আটকে পড়া বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের স্থলপথ হয়ে উঠেছে বেঁচে থাকার আশায় নিরাপদ আশ্রয় খুঁজার অন্যতম মাধ্যম। এই নিরাপদ আশ্রয় খুঁজার মানব শিবিরে বাংলাদেশীদের খুজ পাওয়া গেছে। নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়-আগে থেকেই তারা বুঝতে পেরেছিল রাশিয়া আক্রমন করবে। তাই তারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত পুর্ব থেকে গ্রহন করে।

এরই সুবাধে বাংলাদেশী নাগরিকদের একটি দল ২৪ ফেব্রুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে স্থলপথে ট্রেক্সী দিয়ে পুল্যান্ড সীমান্তবর্তী শহর লবিবে আশ্রয় নেয়। কিন্তু পুল্যান্ড সীমান্ত প্রবেশ দরজার দুরত্ত থাকায় তারা সেখান থেকে পায়ে পুল্যান্ডের সীমানার কাছা-কাছি চলে যায়। সেখানে শত শত যাতায়াতের বাহনে যানজটের সৃষ্টি হয়। পুল্যান্ডে প্রবেশের বিশ কিলোমিটার দুরত্ত পর্যন্ত যানজট দেখাযায়। তাই আশ্রয় প্রার্থীরা উপায়ন্তর না পেয়ে পায়ে হেটে রওয়ানা দেয়।

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক বাংলাদেশী জানায়-আমরা বাংলাদেশীরা স্থলপথে বিভিন্ন বাহন যাত্রায় পরিশেষে পুল্যান্ডের সীমানার দ্বারপ্রান্তে পৌছেছি। এর সাথে বিভিন্ন দেশের নিরাপথ আশ্রয় প্রার্থীরা একই গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। সারারাত আতংকের মধ্যে কেটেছে। চারিদিকে ক্ষেপনাস্ত্র, গোলাবারুদ, মটার সেলের শব্দে নিতর আর বিভীষিকাময় মুহুর্ত গুলো ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। পুল্যান্ড সীমানা পর্যন্ত পৌছতে কোন বাধায় পড়তে হয়নি। সত্যিকার ভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি বুঝতে হলে বাস্তবতার কোন বিকল্প নেই। ভয় আর আতংক কি জিনিস আমরা বুঝতে পেরেছি। বরফ ঢাকা প্রান্তর আর ঠান্ডা দিয়ে আমরা হেটে এই পর্যন্ত এসেছি। পুল্যান্ডের সীমান্ত ইমিগ্রেশনের সামনে অনেক বাংলাদেশী ভীড় করেছে। সর্বোশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রত্যক্ষদর্শী জানায়-হাজার হাজার আশ্রয় প্রার্থী পুল্যান্ডের ইমিগ্রেশন জটিলতা অতিক্রম করছেন। এর মধ্যে এক বাংলাদেশীর পাসর্পোট কপি না থাকায় প্রবেশ করতে দেয়নি পুল্যান্ড ইমিগ্রেশন বিভাগ। ইতিমধ্যে তারা আশ্রয় প্রার্থীর সাথে নিজ দুই কপি ছবি বাধ্যতামুলক ভাবে সাথে রাখার পরামর্শ দেয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eleven − 9 =