২৪ ঘন্টার মধ্যে মুন্না খান সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ না আত্মহত্যার ঘোষণা দিলেন সম্পাদক মিকাঈল ইসলাম রাজ

0
427

মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার হওয়ার প্রতিবাদে দৈনিক সংবাদ চর্চার সম্পাদক মুন্না খান ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আজ গণমাধ্যমে প্রেরিত আলোরতরী ফাউন্ডেশন এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও সাপ্তাহিক আলোরতরী পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ জোবায়ের আহমেদ জুয়েল স্বাক্ষরিত এাক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয় বিগত ২৫ এপ্রিল ২০২১ইং তারিখে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ও নারায়ণগঞ্জে প্রচারিত দৈনিক সংবাদ চর্চা নামক পত্রিকাটির প্রথম পাতায় শীর্ষ সংবাদ হিসেবে “ওরা কীভাবে সম্পাদক” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সিনিয়র সাংবাদিক মিকাঈল ইসলাম রাজ সামাজিক, আর্থিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ সহ সমাজে লোকদের কাছে হেয় প্রতিপন্নের শিকার হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সিনিয়র সাংবাদিক মিকাঈল ইসলাম রাজ নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ডিক্লারেশন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের “চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর” থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত সাপ্তাহিক আলোরতরী পত্রিকার একজন সম্পাদক ও প্রকাশক।

যিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে বি.এ, এম.এ এবং জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রী সম্পন্ন করে দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা করে আসছেন। শুধু নারায়ণগঞ্জেই নয়, তিনি দেশের একজন উচ্চশিক্ষিত সম্পাদক।

কিন্তু দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকাটিতে সমাজে অপ-সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হলুদ সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নানা অপরাধ নিয়ে করা এই প্রতিবেদনটিতে সিনিয়র সাংবাদিক মিকাঈল ইসলাম রাজ এর শুধুমাত্র ছবি অপ-ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করে, এই প্রতিবেদনটির সাথে সিনিয়র সাংবাদিক মিকাঈল ইসলাম রাজ এর ব্যক্তিত্বের সাথে কোনটাই মিল নেই।

তাই এর কোন যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে তথ্যের সঠিকতা ও গ্রহণযোগ্যতা নির্ণয় না করে দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার সম্পাদক মুন্না খান ও তার সহযোগীগণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কুরুচিপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্নমূলক প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে সিনিয়র সাংবাদিক মিকাঈল ইসলাম রাজ এর মানসম্মান ক্ষুন্ন করতেই আক্রমনাত্মক ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেছে, যা আদৌ কাম্য নয়।

তাই বর্তমান সময়ে সিনিয়র সাংবাদিক মিকাঈল ইসলাম রাজ এর পরিচিতি, সুনাম, সু-খ্যাতি আর কর্মকান্ডের প্রতি একরকম ঈর্ষান্বিত হয়েই সমাজে ও গণমানুষের কাছে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও পরিকল্পিতভাবে ছবিটি ছাপানো হয়েছে। এরপর একই বছরের ২৯ জুলাই তারিখে “সৎ ছেলেকে নির্যাতন করে মিকাঈল” শিরোনামে আরো একটি বিভ্রান্তি ও বিব্রতকর সংবাদ প্রকাশ করে।

যা একটি জিডিকে ইস্যু করে উল্লেখিত শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। জিডিতে কোথাও সিনিয়র সাংবাদিক মিকাঈল ইসলাম রাজ এর নাম নেই। আর জিডিটি করা হয়েছিল জুলাই মাসের ২ তারিখে, অথচ জিডির সূত্র ধরে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ২৯ জুলাই তারিখে।

আর এ প্রতিবেদনটি প্রকাশের ক্ষেত্রে দাবীকরা সৎ ছেলের প্রকৃত অভিভাবক হিসেবে মা এবং জিডি তদন্তকারী কর্মকর্তার কোন বক্তব্য না নিয়েই এক তরফা ভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। আর এতে প্রতীয়মান হয় যে, সম্পূর্ণ হিংসা আর রাগের বশবর্তী হয়ে বানোয়াটমূলক প্রতিবেদনটি ছাপিয়েছে। সর্বশেষ গত ৫ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখে একই পত্রিকায় “আত্মহত্যা করবে মিকাঈল!” শিরোনামে আরও একটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক সংবাদ চর্চা। প্রকাশিত সংবাদটিতে লেখা হয় যে, “নিজেকে পরিচয় দেন একটি সাপ্তাহিকের সম্পাদক হিসেবে যদিও তা প্রকাশ হয় বছরে কয়েকবার মাত্র।

কোন অনুমোদন ছাড়া ইউটিউব চ্যানেল খুলে দাবী করে আসছেন টেলিভিশন হিসেবে। কখনও তাকে দেখা যায় কেরাত করতে কখনও গান গাইতে। ভিডিওতে সুন্দরী নারীর সাথে রোমান্টিক অভিনয়ে রয়েছে তার। কয়েকদিন আগে একটি নাচের ভিডিও ছেড়ে হৈচৈ ফেলেছেন……… খোজ নিয়ে জানা গেছে মিকাঈলদের গ্রামের বাড়ী লালমনির হাটে। তার মা তোলারাম কলেজের সুইপারের চাকুরী করতেন। সেই সুবাদে সে নারায়ণগঞ্জে বেড়ে ওঠে। শিক্ষা জীবনে মিকাঈল প্রথমে মাদ্রাসায় পড়তো। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে তার কোনো স্থায়ী নিবাস নেই।

গত বছর জালকুড়ি এলাকায় ২য় স্ত্রী তাকে তালাক দিলে স্ত্রীর বাড়ী থেকে বিতাড়িত হয় সে। মিকাঈল ইসলাম রাজ তার আসল নাম না-কি নিজে নিজে রাজ লাগিয়েছে তা জানা যায় নি। তবে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক পরিচয় দেয় মিকাঈল। যে পত্রিকা বছরে কয়েকবার ছাপা হয়। এছাড়া একটি ফাউন্ডেশন করে এর চেয়ারম্যান দাবী করেন মিকাঈল। প্রশ্ন উঠেছে, তার মতো ছা পোষা একজন কী করে ফাউন্ডেশন গড়ে আবার চেয়ারম্যান হয়? কী করেই বা সে পত্রিকার প্রকাশক হয়?”

আর এ প্রসঙ্গে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, উপরোক্ত প্রত্যেকটি তথ্যই ভুল এবং মিথ্যা। প্রতিবেদনটিতে একরকম আক্রোশের বশবর্তী হয়ে এরকম ভুল তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সমাজে সিনিয়র সাংবাদিক মিকাঈল ইসলাম রাজকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা হয়েছে। আর এইসব বিষয়ের উপর জিডি নিলেও দৈনিক সংবাদ চর্চার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নিতে চায় না, কিন্তু কেন? আসলে সংবাদ চর্চার খুঁটির জোর কোথায়? এ পত্রিকাটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করে নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত থেকে সংবাদ চর্চার নামে অপ-সাংবাদিকতা চর্চা করে আসছে।

তবে এমনটি হতে থাকলে সাংবাদিকতার বস্তুনিষ্ঠতা অকালেই হারিয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে গণমাধ্যমের প্রতি। তাই সময় এসেছে এখন এই পত্রিকাটির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার। আর সেই লক্ষ্যেই আজ ৬ই এপ্রিল ২০২২ইং তারিখে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সকল শ্রেণীর মানুষদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন। এতে সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে সাপ্তাহিক আলোরতরী পত্রিকার সম্পাদক মিকাঈল ইসলাম রাজ বলেন, আমি আজ সমাজে মুখ দেখাতে পারি না। ঘর থেকেও বের হতে পারি না। সমাজের সকর মানুষের কাছে আমি একরকম প্রশ্নবিদ্ধ ও বাকরুদ্ধ। বিগত দিনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগীতা পাইনি।

এমতাবস্থায় আামার বেঁচে থাকাটা একরকম অর্থহীন বলে মনে করছি। তাই আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার পত্রিকার সম্পাদক মুন্না খান সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে এরপর যে কোন সময় আমি সুইসাইড করতে পারি। আমার মৃত্যুর জন্য দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার সম্পাদক মুন্না খান সহ তার সহযোগীরা দায়ী থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

17 − eight =