নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি, উৎপাদন, বাজারজাত করণ এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্যে রিয়েল টাইম এ্যাপস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্যে সকল পর্যায়ে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে। মিল পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। ভোক্তা যাতে স্বস্থিতে থাকেন, সে জন্য যা করা দরকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাই করবে। চট্রগ্রাম বন্দর এবং খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজার যদি স্বাভাবিক কাজ করে , তাহলে পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য নিয়ে সমস্যা হবার কথা নয়। চট্রগ্রামের ব্যাসায়ীগণ সারা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে সকযোগিতার জনই কাজ করে, ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে। চলমান বিশ্ববাণিজ্যে াস্থির পরিস্থিতিতেও সরকার আন্তরিকতার সাথে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। দেশে পর্যাপ্ত পণ্য মজুত থাকার পরও সরবরাহে ঘাটতি বা মূল্য বৃদ্ধি হবার কথা নয়। সরকার ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোন পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক উঠা-নামা করলে সেটা ব্যবসায়ীদের জন্য বড় ক্ষতির কারন হতে পারে। ব্যবসায়ীরা নিজেরাই পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাকতে বাজার মনিটরিং এর প্রয়োজন হয় না। তাই ব্যবসায়ীদের কেই এর দায়িত্ব নিতে হবে।
চট্রগ্রামের ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স সেন্টারে আজ (৯ এপ্রিল) দি চিটাগাং চেম্বার এন্ড কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি আয়োজিত “পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায়” বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এমন সফিকুজ্জামান এ সব সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আলোচনা সভায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ বলেন, পণ্যের সরবরাহ, মজুদ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে মিলার হতে পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে সাপলাই চেইন নির্বিঘœ রাখা, বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখা, প্রত্যেক দোকানে ক্রয়-বিক্রয় এর মূল্য তালিকা প্রদর্শন, পণ্য পরিবহনকে বাধা মুক্ত রাখা, চট্রগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ১৩ টন ওজনের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলে শুল্ক সমন্বয় করা, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেলে তা সমন্বয় করা, ইমপোর্ট পারমিট(আইপি) ইস্যুর ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করা, এইচএস কোর্ড কোন কারনে ভুল হলে উচ্চহারে জরিমান না করে তা সংশোধনের সুযোগ দেয়া, আমদানি, মিলার, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যৌক্তিক ভাবে লভ্যাংশ নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সঠিক সময়ে পণ্য বাজারে এলে কোন সমস্যা হবে না।
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আলোচনায় অংশ নেন চিটাগাং চেম্বারে নেতৃবৃন্দ, চট্রগ্রামের বিভিন্ন মার্কেট এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, আমদানি কারক, মিলালিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ, দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেন, খাতুনগঞ্জ ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি সৈয়দ ছগির আহমেদ, চট্রাগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ এবং চট্রগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ইকবাল হোসেন।