অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: নারায়নগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংক কোর্ট রোড শাখার সহকারী মহা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অসদাচরন ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজিএম মালিহা আক্তার দীর্ঘ দিন যাবৎ শাখার সন্মানিত গ্রাহকদের সাথে যাচ্ছে তাই আচরন করছেন। অভিযোগে প্রকাশ, তার কামরায় প্রবেশ করতে হলে তার আগাম অনুমতি লাগবে। অনেক সন্মানিত গ্রাহক দীর্ঘ সময় তার কামরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার পর অনুমতি পাওয়া যায়। এভাবে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে অনেক গ্রাহকের প্রতিদিন প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে। কোন প্রয়োজনে তার কামরায় কোন গ্রাহক একবারের বেশি দুইবার প্রবেশ করলে তাকে গালিগালাজ করে কামরা থেকে বের করে দেন। তিনি ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তার সাথেও অসদাচরন করেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। ঋনগ্রহীতার কাছ থেকে ব্যাংকের পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, “আমি নিলাম করে টাকা আদায় করি।”গ্রাহকের কোন চিঠি রিসিভ না করার জন্য ডেসপাচ শাখায় নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন এজিএম মালিহা আক্তার।
ফলে অগ্রণী ব্যাংকের কোর্ট রোড শাখা, নারায়নগঞ্জে কোন দরখাস্ত বা গ্রাহকদের কোন আবেদন দেওয়া যাচ্ছে না। এমডি বরাবর কোন চিঠি দিলে তা শাখায় প্রেরণ করলে উক্ত চিঠি ধামাচাপা দিয়ে রাখেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ডিএমডিদেরকে কান ভারি করে রাখেন। এসব কারণে ব্যাংকটির উক্ত শাখায় গ্রাহকরা অনেক হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এই মর্মে নারায়নগঞ্জের বাবুরাইল এলাকা হতে তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বারবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ও অগ্রণী ব্যাংকের এমডি বরাবর প্রেরিত হয় বলে অভিযোগ থেকে জানা গেছে। এই ব্যাপারে এজিএম মালিহা আক্তারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি তা রিসিভ করেন নাই।