ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, সু চি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে গৃহবন্দী আছেন। ওই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে তার নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে সু চিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭৬ বছর বয়সী এই নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে ভোটার জালিয়াতিসহ ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সামরিক আদালতের বিচারকে জালিয়াতি অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছে। মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে সু চি, পরবর্তীতে এই সেনাপ্রধানই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে । মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধান বা স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে দেশটির সামরিক আদালত। এতে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এটি ধারাবাহিক গোপন বিচারের সবশেষ রায় বলে জানিয়েছেন
জান্তা আদালত দেশটির গণতন্ত্রপন্থী এই নেত্রীকে মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ও অঞ্চল ইয়াঙ্গুনের সাবেক প্রধানের কাছ থেকে নগদ এবং সোনার বার আকারে ৬ লাখ ডলার ঘুষ নেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে। এতে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সু চির আইনজীবীরা বিবিসিকে বলেছেন, তারা এখনও তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
খবরে বলা হয়েছে, আজ বুধবার, ২৭ এপ্রিল দেশটির রাজধানী নেইপিদোতে রুদ্ধদ্বার শুনানি করে সু চিকে সাজা দেওয়া হয়। যেখানে জনসাধারণ তো দূরের কথা, মিডিয়ার লোকজন ঢোকাও নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি সু চির আইনজীবীরা যাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে না পারেন, সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সবশেষ ৫ বছর নিয়ে তার মোট কারাদণ্ডের মেয়াদ ১১ বছর হয়েছে। এর আগে তিনি অন্যান্য অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে সু চির ১৯০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।