কবরে টাকা পয়সা কিছুই নেওয়া যাবে না ….. প্রধানমন্ত্রী

0
448

আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ভিডিও কনফারেন্সে একযোগে দেশের ৪৯২ উপজেলায় ছিন্নমূল মানুষকে ভূমি ও গৃহদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মানুষকে একটি শিক্ষা দিয়ে গেছে, ধন-সম্পদ-অর্থ এগুলো কিছুই না। আর মরলে তো সব রেখেই যাবেন। কবরে কিছু নিয়ে যেতে পারবেন না। কাজেই সম্পদের পিছে ছুটে নিজেকে মানুষের কাছে অসম্মানের জায়গায় রাখার কোনো মানে হয় না। বরং দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একজন মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। তাই বলছি, দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ান।

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে লকডাউনের কারণে টাকা থাকলেও ধনীরা দেশের বাইরে যেতে পারেননি। অথচ অতীতে একটু সর্দি-কাশিতেও তারা দেশে চিকিৎসা না নিয়ে বিদেশে চলে গিয়েছিলেন।

হাসিনা বলেন, যে জাতি বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে সে জাতি কখনো পিছিয়ে থাকতে পারে না শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না, বলেন তিনি। ’৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার এবং স্বাধীনতার চেতনা ভূলুণ্ঠিত করার যে ষড়যন্ত্র তা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারাটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

দলের নেতাকর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলব, জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে চলবে। দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবে- এটাই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। একটা মানুষকে যদি একটু আশ্রয় দেওয়া যায়, তার মুখে হাসি ফোটানো যায়, এর চেয়ে বড় পাওয়া একজন রাজনীতিবিদের জীবনে আর কী হতে পারে। এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, সে সময় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ৭০টি আশ্রয়হীন পরিবারের জন্য নৌবাহিনী এবং জমি দানকারী স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার সহযোগিতায় ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ভূমিহীনদের এই পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হয়।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে সরকার এই কর্মসূচিকে আরো বেগবান করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন থেকে আমরা ফান্ড করে জমি কিনেও ঘর তৈরি করছি এবং গৃহহীনদের মাঝে উন্নত মানের সেমি পাকা ঘর করে দেওয়ারও পদক্ষেপ নিয়েছি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty + five =