মো: দেলোয়ার হোসেন: গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া গ্রামের অসহায় লাকি খানমের ক্রয়কৃত জমি জোড় পূর্বক দখল করে নেয় আলমগীর হোসেন। দখলদারের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করায় তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং দখলকৃত জমিতে পাঁচতলা ফাউন্ডেশনে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। খুন হওয়ার ভয়ে তিনি আতঙ্কের মাঝে দিন কাটাচ্ছেন। সারা জীবনের কষ্টে অর্জিত টাকায় ক্রয়কৃত ০৫ শতাংশ জমি, সেই জমিতে অন্যজন বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে। তা কিছুতেই তিনি মেনে নিতে পারছেন না। বিচার বিভাগের সকল দপ্তরে ছুটাছুটি করে জমি দখল মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। বরং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। জমি উদ্ধার করে দেওয়ার নাম করে কতিপয় লোক নিস্ব করে দেওয়ার পায়তারা করছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় ২০১৩ সালে লাকি খানম কালিয়াকৈর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ হরিণহাটি এলাকায় ০৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন এবং দখল বুঝিয়া পান। জমিতে পানি থাকার ফলে ঘর উঠাতে পারেন নি। এরই মাঝে চাকুরির তাগিদে বিদেশে চলে যেতে হয়। সেই সুযোগে কালিয়াকৈর কারোল সুড়িচালা গ্রামের মো: মানিক মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন উক্ত জমি দখল করে নেয়। ২০১৮ সালে লাকি থানম দেশে ফিরে এসে দেখতে পান জমি অন্যের দখলে। তিনি স্থানিয় লোকজন নিয়ে বাধা দিতে চাইলে আলমগীর একটি দলিল দেখায়, যাহা লাকি খানমের দলিলের চাইতে ০১ বছর ০৩ মাস পর রেজিষ্ট্রিকৃত। স্থানীয় ভাবে জমি উদ্ধার করার লক্ষ্যে সর্বত্নক চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন। অত:পর দেওয়ানি মোকাদ্দমা নং ৪৭/২১ দায়ের করেন। উক্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকা স্বত্ত্বেও আলমগীর জোড় পূর্বক উক্ত জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে।
স্থানীয় লোকজন নিয়ে বাধা দিতে গেলে আলমগীর হোসেন চাপাতি হাতে নিয়ে লাকি থানমকে ধাওয়া করে। তিনি পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান এবং কালিয়াকৈর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় অভিযোগ করার পরও ক্ষমতার দাপটে আলমগীর উক্ত জমিতে ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ যেন তার হাতের মুঠোয়। স্বরজমিনে তথ্য সংগ্রহে প্রমাণিত হওয়ায় আলমগীর হোসেন ধর্ষক, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারী এবং জেল খাটা দাগি আসামী।
সে যুগান্তর পত্রিকার গাজীপুর জেলার স্টাপ রিপোর্টার হয়ে এই সকল কর্মকান্ড চালিয়ে যায়। ২০২২ সালে রংপুরে স্বর্ণা নামের একটি মেয়েকে চাকুরীর প্রলোবন দেখিয়ে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে।
সেই ধর্ষণ মুহুর্ত মোবাইলে গোপন ভিডিও ধারন করে এবং তা নেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অনেক দিন ধর্ষণ করে। স্বর্ণা তার হাত থেকে রেহাই পেতে আইনের আশ্রয় নিয়ে কালিয়াকৈর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় সে গ্রেফতার হয় এবং বেশ কিছুদিন কারাভোগ করে জামিনে আসে।
যুগান্তর পত্রিকার জেলা স্টাফ রিপোর্টার ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারের সংবাদটি পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হলে কালিয়াকৈর প্রেসক্লাবের সভাপতি তাকে বহিষ্কার করেন এবং পত্রিকায় সাংবাদিকতার পদ বাতিল করা হয়।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, আলমগীর সাংবাদিকতার দায়িত্বে থাকাবস্থায় ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে, বর্তমানেও সে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।