হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে উল্টোপথে নিষিদ্ধ যানবাহন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪ যুবকের মৃত্যু

0
363

মোঃ অনিক ইসলামঃ এ যেনো মৃত্যুর মিছিল।একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় অকালেই ঝড়ে যাচ্ছে তাজা প্রাণ।ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম সড়ক পথ।এই মহাসড়কের ঢাকা প্রবেশ এবং বাহিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধিন মদনপুর কেওঢালা এলাকা।তিন চাকার সিএনজি,অটোরিকশা,নসিমন-করিমন মহাসড়কে চলাচলে সরকারী ভাবে নিষেধ থাকলেও কাচঁপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের কিছু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় আইন কে তোয়াক্কা না করেই বীরদর্পে দ্রুত গতীর গণপরিবহন ও মালবাহী ট্রাকগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে উল্ট পথেই চলছে এসব পরিবহন।

গত একসপ্তাহের মধ্যে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে কেওঢালা এলাকায় উল্টোপথে চলাচলরত সিএনজি ও অটোরিকশায় ধাক্কা লেগে ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আমানউল্লাহ আমান,মোঃ শিশির,ফয়সাল ও সাকিব নামের ৪ যুবকের করুণ মৃত্যু হয়েছে।

মদনপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কেওঢালা,জাঙ্গাল ও লাঙ্গলবন্দ এলাকায় যাওয়ার জন্য উল্টো পথেই বেপরোয়া ভাবে চলছে এসব নিষিদ্ধ তিন চাকার পরিবহণ।মহাসড়কে এসব গাড়ী অনায়াসে চলতে গেলে হাইওয়ে পুলিশের কাছে মাসিক চাঁদা দিতে হয় বলে জানান সিএনজি চালক খোরশেদ আলম সহ একাধিক চালকরা।

আরেক সিএনজি চালক মোঃ জলিল জানান,আমরা হাইওয়ে থানার পুলিশকে মাসে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দেই বলেই তারা আমাদের আটক করে না।তবে উপরের কোন চাপ আসলে বা সাংবাদিকরা কোন নিউজ করলে মাসিক চাঁদা ছাড়া কিছু সিএনজি বা অটোরিকশা আটক করে কয়েকটির বিরুদ্ধে মামলা দেয় আর অধিকাংশ গাড়ী গুলো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় হাইওয়ে পুলিশ।

তাছাড়া যেসব গাড়ী ডাম্পিংয়ে রাখে সেগুলো মামলা শেষ করে জরিমানা দিয়ে নিয়ে আসতেও গুনতে হয় ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা।ডাম্পিং যেনো আরও একটি চাঁদাবাজির গোডাউন। পুলিশের এসব চাঁদাবাজিতে টাকা উত্তোলন করেন মহাসড়কে চাঁদাবাজি কালে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত কাচঁপুর রায়েরটেক এলাকার মনির হোসেন ও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকার ইসমাইল মিয়া।টিআই ইব্রাহিম মিয়া চাঁদাবাজ মনিরের মাধ্যমে কাচঁপুর সোনারগাঁও ফিলিং স্টেশন এলাকার আরেক চাঁদাবাজ নজরুল ইসলাম নজুর কাছ থেকে মাসিক ৫০ হাজার,সেনপাড়ার যুবলীগ নেতা মাহাবুব পারভেজের কাছ থেকে মাসিক ৩০ হাজার,

ডাম্পিং থেকে ইসমাঈলের মাধ্যমে মাসিক ৫০ হাজার,যুবলীগ নেতা লিটন খানের অফিসের সামনে বাস কাউন্টার থেকে মাসিক ৪০ হাজার টাকা,কাচপুর সেতুর বামপাশের রেন্টেকারের পার্কিং স্ট্যান্ড থেকে মাসিক ৩০ হাজার টাকা,মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের সিএনজি চালকদের কাছ থেকে মাসিক প্রায় ১লক্ষ টাকা,ফুলহর স্ট্যান্ডের অটোরিকশা ও সিএনজি থেকে মাসিক ৪০ হাজার টাকা,কেওঢালা বাসস্ট্যান্ডের সিএনজি অটোরিকশা চালদের থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা,জাঙ্গাল স্ট্যান্ড থেকে মাসিক ২০ হাজার,লাঙ্গলবন্দ স্ট্যান্ড থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা,দড়িকান্দি স্ট্যান্ড থেকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার মসজিদের সামনের ফুটপাত, পাম্পের সামনের ফুটপাত,কলাপাতা রেস্টুরেন্টের সামনের ফুটপাত ও রেন্টেকারের পার্কিং থেকে ৪টি স্থান থেকে মাসিক ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে কাচঁপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten − 6 =