ছবিতে নুসরাত ইমরোজ তিশার পরনে শাড়ি। মেহেদি রাঙা হাতে চুড়ি। গলায় নেকলেস, সিঁথিতে শোভা পাচ্ছে টিকলি। কপালে টিপ, কানে দুল,চোখে-মুখে খেলা করছে উচ্ছ্বাসের হাসি। তাকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার পরনে পাঞ্জাবি, মাথায় ক্যাপ, চোখে চশমা।
শনিবার ( ১৫ জুলাই) রাতে তিশা তার ফেসবুকে বিয়ের সাজের বেশ কয়েকটি ছবি সহ একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস পোস্ট করে ফারুকীর প্রতি ভালোবাসার জনানান দিলেন।
স্ট্যাটাসে তিশা লিখেছেন, ‘২০১০ এর এই দিনটাতে আমাদের বিয়ে হয়। আজ ২০২৩। দেখতে দেখতে তেরোটা বছর এক সাথে কাটিয়ে দিলাম। তাই ভাবলাম একই পোষাকে, একই মানুষের সাথে আবার বিয়ে হোক। জীবনে যোগ হয়েছে শুধু ইলহাম। আর বিয়োগ হয়েছে সময়। বাকি সবকিছু আগের মতোই আছে।
ধন্যবাদ তোমাকে, এত বছর আমাকে সহ্য করার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ।
লাভ ইউ সো মাচ ।
এদিকে ফারুকীও তার ফেসবুকে একই ধরনের ছবি পোস্ট করে জানালেন,ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি সবক্ষেত্রেই ফারুকী কতটা ভরসা ও বিশ্বাস করেন তিশাকে।
ফারুকী লিখেছেন, জীবন কখনো কখনো নিজের মতো করেই স্ক্রিপ্ট লেখে। আমাদের বিয়ের তেরো বছর পূর্তিতে তিশা পরিকল্পনা করলো- আমরা বিয়েতে যে পোশাক পরছিলাম সেটা পরেই তেরো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটা ফটোশুট করবো। সেই একই মানুষ, একই পোশাক, শুধু সময়টা এগিয়ে গেছে, আর আমাদের জীবনে এসেছে ইলহাম।
তো সেই অনুযায়ী আমরা ভাবছিলাম কোথায় যাওয়া যায়! ঢাকার কাছেই হিজল তমাল নামে একটা পিকনিক স্পট আছে। ওখানেই গেলাম। গিয়েই খেয়াল হলো, এর মালিকের বাড়িতেই ‘নিখোঁজ সংবাদ’ শুটিং হইছিল। আর সেই স্পটেই আমি তিশাকে বিয়ের প্রস্তাব দিছিলাম। আজকে তেরো বছর পর সেখানেই আসাটা মহাজাগতিক এক পরিকল্পনাই বটে।
তেরো বছরে আমরা অনেক চড়াই-উতরাই পার হইছি। বাচ্চা নেয়া নিয়ে অনেক কিছুর মুখোমুখি হইছি। কিন্তু নিঃসন্দেহে এই জার্নিটা ছিল অসাধারণ। তোমার কাছে কৃতজ্ঞতার তালিকাটা অনেক বড়। কত বড় বড় বিষয় থেকে শুরু করে তুচ্ছ বিষয়ে তোমার উপর নির্ভর করি।
তোমাকে ছাড়া বিদেশে গেলে এখনো রাতের বেলা বাতি নিভাইতে পারি না, ভয় পাই। ভাবি একা একা যাবো কিভাবে এই দুনিয়া থেকে? অথচ কি আশ্চর্য আমরা একা একাই বড় হইছিলাম এই দুনিয়ায়!!
তাদের আলাদা আলাদা পোস্ট দুটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই নেটিজেনদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছায় ভাসছেন এ তারকা দম্পতি।