মাদকে ভাসছে দেশ যুব সমাজ শেষ

0
590

দেশে মাদকের বিস্তার ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মাদকের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা এই অনৈতিক ব্যবসা করে অতি অল্প সময়ে প্রচুর টাকা উপার্যন করছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মাদক ঢাকায় প্রবেশ করছে। তাই বলে অন্যান্য জেলাগুলো এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চচলও মাদক মুক্ত নয়। মাঝে মাঝে পুলিশের অভিযানে কিছু মাদক ধরা পড়লেও মূল হোতারা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। ধরা পড়ছে শুধু খুচরা বিক্রেতা ও মাদক সেবিরা। এক কালে ফেন্সিডিল ছিল মাদকসেবিদের কাছে খুব জনপ্রিয়। এরপর আসলো ইয়াবা ও হেরোইন। বর্তমানে আইস নামক মাদকের আগ্রাসন চলছে। যুব সমাজ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকছে মাদকের নেশায়। উঠতি বয়সেই শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের জীবন। মাদকের টাকা জোগার করতে গিয়ে তারা ছিনতাই ও ডাকাতির মত অপরাধ করছে। পরিবারের সদস্য এমনকি পিতা-মাতা পর্যন্ত মাদকাশক্ত সন্তানের নিপিড়ন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে বাংলাদেশ সিমান্ত ঘেঁষে প্রতিবেশি দেশের ভেতরে অসংখ্য মাদকের কারখানা ছিল। বাংলাদেশের আধা সামরিক বাহিনী এসব মাদকের কারখান বন্ধ করার জন্য অনেক চিঠি চালাচালি করে। বর্তমানে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ। বিভিন্ন শ্রেণীর লোক মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িত। মাদক বহন করার জন্য আজকাল শিশুদেরকে ব্যবহার করা হয়। এম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার করার মত সচিত্র প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এক শ্রেণীর মহিলা বোরাকা পরে মাদক বহন ও পাচারের সাথে জড়িত। কাজেই কবে কিভাবে এই নেশাজাত দ্রব্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাচার হয় তা বুঝা মুশকিল। মাদকের সমস্যা কয়েক যুগ ধরে চলছে। এর বিস্তার ক্রমশ বাড়ছে। কিছু গডফাদার এই অনৈতিক ব্যসবসা ও সেবনের সাথে জড়িত থাকাতে এর মূলোৎপাটন সম্ভব হচ্ছে না। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে শতকরা নিরানব্বইি পার্সেন্ট গাড়ির চালক ও হেল্পার মাদকাশক্ত। যেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক প্রতিরোধের কাজে নিয়োজিত তারাও মাদকে আশক্ত। ডোপ টেস্ট করার পর প্রচুর সংখ্যক পুলিশের চাকুরি চ্যুত হয়। এখান থেকেই আমার মাদকের ভয়াবহতা অনুভব করতে পারি। এর অভিশাপ থেকে বাঁচার যেন কোন উপায় নেই। জনসচেতনতা সৃষ্টি করে এর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরতে পারলেও সৃষ্ট সমস্যা থেকে বহুলাংশে উদ্ধার হওয়া সম্ভব। “মাদককে না বল” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সবাইকে এক কাতারে আসতে হবে। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবক উভয়ের জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে যাতে আইনের ফাঁক ফোকড় দিয়ে অপরাধি পার পেয়ে না যায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 − 12 =