অনিয়মিত ভবনে ছেয়ে যাচ্ছে ঢাকা ব্যবস্থা নিচ্ছে না রাজউক চেয়ারম্যান

0
704

রাজধানী ঢাকা ক্রমেই বসবাসের অনুপযোগি হয়ে উঠছে। লাগাতার নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন। এক সময় যেখানে জলাশয় বা কৃষিজমি ছিল সেখানে নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন। অভিযোগ রয়েছে এসব ভবনের অধিকাংশই রাজউক এর নকশা ভঙ্গ করে নির্মিত হযেছে ও হচ্ছে। কার পাকিং এ জায়গায় দোকান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মান করা হচ্ছে রাজউকের ইমারত পরিদর্শক ও অথারাইজড অফিসারকে ম্যানেজ করে। এদিকে বহুতল ভবন নির্মানে রাজউক থেকে জমির ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন নিতে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না রাজউকে এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতির লাগাম ধরার মত কর্তৃপক্ষ যেন বরাবরই অনুপস্থিত। মাঝে মাঝে দুর্নীতির অভিযোগে দুদক রাজউকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। তবে দুদকে যাবার সময় পথেই সমঝোতা হয়ে যায় বলে জনশ্রুতি রয়েছে। রাজউকের অনেক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি ঢাকা শহরে বাড়ি গাড়িসহ বিশাল বিত্যবৈভবের মালিক। দুর্নীতি ওদের নিত্য সঙ্গি। ওরা দুর্নীতি দমন কমিশনকেও ভয় পায় না। কারণ ওদের দুর্নীতিকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই প্রশ্রয় দিয়ে থাকে। রাজউক নামক প্রতিষ্টানে যে কোন কাজে গেলে আগেই টাকা দিতে হবে। নইলে হয়রানি। অথারাইজড অফিসার জোন ৬/১ বরাবর অনিয়মিত ভবন বিষয়ে কোন অভিযোগ দাখিল করতে গেলে অভিযোগ গ্রহণ শাখার কর্মচারি অভিযোগ দাতাকে হয়রানি করে। রাজউকে প্রবেশ করে নিচ তলায় লিফটের বায়ে সিঁড়ির বাম পাশে জোন ৬/১ এর অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য একটি অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে। উক্ত অফিসে অভিযোগ গ্রহণকারী কর্মচারি অভিযোগ দাতাকে বিভিন্ন রকমের অবাঞ্চিত প্রশ্ন করতে থাকে, অভিযোগটি হাতে নিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে এবং নগদ নারায়ন না দেওয়ার কারণে অভিযোগটি গ্রহণ করতে হয়রানি করতে থাকে।

সকাল নয়টার সময় অফিস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও উক্ত কর্মচারিকে সকাল ১০.৩০ টার সময়ও দতপ্তরে পাওয়া যায় না।  এভাবে অথারাইজড অফিসার জোন ৬/১ এর অভিযোগ কেন্দ্রে প্রতিদিন অসংখ্য অভিযোগকারী হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

বিষয়টি রাজউকের অথারাইজড অফিসার জোন ৬/১ কে ভুক্তভোগীরা বেশ কয়েকবার মৌখিকভাবে জানিয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। ঢাকার মগবাজার এলাকায় অসংখ্য বহুতল ভবন নির্মিত হচ্ছে রাজউকের নকশা ভঙ্গ করে।

পুরাণ ঢাকায়ও কম নয়। এসব অনিয়মিত ভবনের ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর একাধিক অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। বরাং উল্টো অভিযোগকারীকে রাজউকের ইমারত পরিদর্শক হয়রানি করে। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনিয়ম দুর্নীতির অসবসান হবে কবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 2 =