হামাসের কৌশলী যুদ্ধ নীতিতে নাস্তানাবুদ ইসরাইল  

0
826

মোশাররাফ হোছাইন খান: সাম্প্রতিক হামাস ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইলের জন্য ভয়ংকর এক আতংক হিসেবে আভির্ভূত হয়েছে লেবানন ভিত্তিক মুক্তকামী সংগঠন হিজবুল্লাহ। চলমান এই যুদ্ধে ইসরায়েলিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে হামাস হিজবুল্লাহর দুর্ধর্ষ ও দুর্নিবার যুদ্ধ কৌশল।বিশ্বের সর্বাধিক চৌকোশ ও অপারাজেয় হিসেবে দাবীদার ইসরায়েলি গোয়েন্দা এবং সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহ – হামাসের কৌশলী কর্মকান্ড তাদেরকে নাস্তাবুদ করে দেয়ায় এখন তাদের দক্ষতার দাম্ভিকতা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। ইতোমধ্যেই হামাস গোটা বিশ্বকে প্রমান করে দিয়েছে যে, হামাসের যুদ্ধ কৌশলের সামনে ইসরাইলের গোয়েন্দা এবং সেনা বাহিনী শিশুবৎও নয়।

এখন আন্তর্জাতিক মহলে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে‌ উঠছে, ইসরায়েলর বিশ্ব কাপানো নোফেইল টার্গেট নীতির মোসাদ এবং বিশাল বহরের সেনাবাহিনীর দাম্ভিকতার সলিল সমাধি হবে গাজায়?গাজায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য পতন ঠেকাতে ইসরায়েলি মিত্রদের বন্ধুত্ব সূলভ সহায়তা ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের বিষ পোড়ার মহামারী হিসেব স্পষ্ট হয়ে উঠছে।আরব বিশ্বের আধিকাংশ দেশের কাছে এ বিষয় পরিস্কার হয়ে গেছে আমেরিকা আরবদের সাথে সম্পর্কের নাম করে ইসরাইলকে ব্যাপক শক্তিশালী করে গড়ে তুলছে তা যেন কেন্সারের উপর বিষ পোড়া। আমেরিকা দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবও এখন হামাস সদস্যদের যুদ্ধ নীতি ও কৌশল স্মরন করিয়ে দিচ্ছে গাজী সালাহ উদ্দীনের রন কৌশল ও দূরদর্শিতার বিষয়টি।যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলের অভ্যন্তরে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে নির্মূল করতে   যেকোনো সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করবে। তারা তিন লাখের বেশি সৈন্য, অত্যাধুনিক ট্যাংক এবং অন্যান্য অস্ত্র সস্ত্রসহ

গাজা সীমান্তে সমবেত করেছে।বিশ্বের বৃহত্তর পরাশক্তিধর যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানিসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোও তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে এবং নানাভাবে যুদ্ধ সহায়তা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ।যুদ্ধ শুরুর পর পরই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র শক্তির সহাযের জন্য রনতরিও পাঠিয়ে দিয়েছে।বিশাল প্রস্তুতির পরও  বেশ কয়েক দিন যাবৎ যুদ্ধ চললেও ইসরাইল তাদের পরিকল্পিত  হামলা শুরু করতে পারেনি। কেন যুদ্ধ শুরু করা সম্ভব হয় নি এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে নানা ধরনের চুলচেরা বিশ্লেষণ।

ইসরাইলের ওয়াইনেটের উদ্ধৃতি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি পোর্টাল জানিয়েছে, স্থল হামলা শুরু বিলম্ব হওয়ার যে কয়টি উল্লেখযোগ্য কারন রয়েছে এর অন্যতম কারণ হলো লেবানন ভিত্তিক হিজবুল্লাহ মুভমেন্টের শক্তিশালী অবস্হান। ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী মনে করছে যে, ‘গাজায় ইসরাইলি অভিযান জোরদার করা মাত্র হিজবুল্লাহও তাদের শক্তি প্রদর্শনের মাত্রা বহুগুন বাড়িয়ে দেবে।এতে ইসরায়েলি জংগী বাহিনীও নাস্তানাবুদ হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিতে চান না সমর বিশেষজ্ঞ মহল।

এ দিকে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির- আবদুল্লাহিয়ান ঘোষণা দিয়েছেন, গাজায় যদি ইসরাইল তার আগ্রাসন বন্ধ না করে, এর ফলশ্রুতিতে তারাও শক্তি প্রদর্শন করতে এগিয়ে আসবে।

ইরানের এই ঘোষণা যদি বাস্তবে রূপ নেয় এতে আগামী দিনগুলোর যুদ্ধের গতি প্রকৃতি কী হবে সেটিও ভাবনার বিষয় ইসরাইল ও তার মিত্র শক্তি সমূহের । এটিও দখলদার শক্তির মাথাব্যথার আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে ধারনা করা হচ্ছে।

ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, জায়নবাদী দখলদারদের আগ্রাসন বন্ধ না হলে এই অঞ্চলের কেউ নিরবে বসে থাকবে না, প্রত্যেকের হাতেই ট্রিগার উঠবে।এতে পরিস্থিতি কোন দিকে রূপ তা ভবিষ্যতই বলে দিবে। তবে ইরান মু‌খ গুটে বসে থাকবে না।

ইতোমধ্যেই লেবানন সীমান্ত ইসরাইল কতৃক আক্রান্ত হওয়া শুরু হয়েছে।  ইসরাইলিদের সাথে হিজবুল্লাহও গোলাবিনিময়ে পাল্টা শক্তিমত্তার জানান দিচ্ছে।

এদিকে, ইসরাইলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দরাজপূর্ণ সমর্থন অভ্যাহত থাকলেও  ইসরাইলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে বাইডেন প্রশাসন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

অপরদিকে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সমূহের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলে হামাসের মিত্র শক্তির সম্মিলিত  হামলার পর তারা কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করবে, সে সম্পর্কে কোনো পরিকল্পনা লক্ষিত হচ্ছেনা। ফলে এই উত্তেজনা কোন দিকে গিয়ে শেষ হবে তা  এখনো অনির্ধারিত ।

বাইডেন প্রশাসনের একটি সূত্রে আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, স্থল হামলা হলে এ হামলার সুস্পষ্ট গতি প্রকৃতির শেষ বিন্দু বলতে কিছু থাকবে না। এতে ইসরাইল এবং তার মিত্ররা ভয়াবহ সঙ্কটে পড়ে যেতে পারে।আগামী দিনগুলো হবে হানাদার ইসরাইলের জন্য অনিশ্চিত।এতে হামাস তার মিত্রদের সহযোগীতায় দীর্ঘ পচাত্তর বছরের প্রতিটি আক্রমণের প্রতিশোধ কড়ায় গন্ডায় আদায় করে নিতে পারে। সমর বিশেষজ্ঞগন মনে করছেন, বিগত বিশ বছর আগের হামাস  আর এখনকার হামাস এক নয়। এখনকার হামাস বিশ্বের যে কোন পরাশক্তিধর যোদ্ধাদের সাথে মোকাবিলা করতে অনেক বেশী দক্ষ।তারা মনে করছেন, হামাসের একশ যোদ্ধা যে কোন সময় যে কোন অন্চল বা এলাকায় চৌকোশ গোয়েন্দা নজরদারির চোখে ফাকি দিয়ে অপারেশন সফল করতে স্বক্ষমতা অর্জন করেছে।

অপরদিকে ইসরাইলের অভ্যন্তরেও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে প্রকট মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। নেতানিয়াহু চান, যুদ্ধ গাজাতে সীমিত থাকুক। কিন্তু গ্যালান্ট পুরো অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে চান। এই মতবিরোধও হামলা বিলম্বিত করছে।

আবার গাজায় হামাসের হাতে বন্দীদের নিয়েও ইসরাইলে দুশ্চিন্তা ঘনিভূত হচ্ছে।এই পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে নেতানিয়াহুও তার দেশের জনগণের তোপের মুখে পরতে হয়েছে।

এ সপ্তাহে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে হামাসের হাতে বন্দী ও জিম্মিদের স্বজনরা বিক্ষোভ করে বলেছেন, তাদের মনে হচ্ছে যে ইসরাইলি কতৃপক্ষ তাদেরকে উদ্ধার তৎপরতা দক্ষতাপূর্ন নয় এবং বন্ধিদের খোজ খবর তারা খুব কমই পাচ্ছে।

বহু ইসরাইলি অভিযোগ করে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং তার মন্ত্রীরা নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে, ইসরাইলি নাগরিকদের জান মালের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন না।

আজ বুধবার ১৮ অক্টোবর ইসরাইল যাচ্ছেন বাইডেন।এ সফরে তিনি জর্ডানও যাবেন বলেও জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সুত্র সমূহ জানিয়েছে এ সফরে ইসরাইলেকে সর্বাত্মক সহযোগীতা দিবে এ ঘোষণা দিতে আজ বুধবার ইসরাইল যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।গত কয়েক দিনের  চলমান ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ আঞ্চলিক রক্তাক্ত লড়াইয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে, এই আশঙ্কার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরাইল সফরের যাচ্ছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় উপনীত হওয়া, হামাসকে নির্মূল করতে গাজায় ইসরাইলের সম্ভাব্য স্থল হামলার প্রস্তুতির প্রেক্ষাপটে এই সফর হচ্ছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, মার্কিন ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের হামলাকে হলুকাস্টের পর ইহুদিদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রাণঘাতী আক্রমণ বলে মনে করছেন।

বাইডেন সফরকালে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন ও সহযোগীতার কঠোর বার্তা দেবেন।এতে তার ডেমোক্র্যাটিক প্রশাসন সামরিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং এরই মধ্যে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে। তারা ইসরাইল ও ইউক্রেনকে আরো দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান মঞ্জুর করার জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পেন্টাগন যুদ্ধ শুরুর পর পরই তাদের দুই হাজার সৈন্য ইসরাইলকে শক্তি সহযোগিতার জন্য  পাঠানো হয়েছে। তবে তারা কোনরূপ যুদ্ধে জড়াবে না, বরং চিকিৎসা এবং পরামর্শকের ভূমিকা পালন করবে।

এরই মধ্যে যুদ্ধরত গাজা থেকে ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। তারা সকলে সাথে যা যা নিতে পারছে সেটুকু নিয়েই সরে যাচ্ছে । ব্যাগে কিংবা স্যুটকেসে, তিন চাকার মোটর বাইকে করে, ব্যাটারি চালিত গাড়িতে,দুই চাকার  বাইকে করে, ভ্যানে এমনকি গাধার টানা গাড়িতে করেও অনেকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাথে করে নিয়ে যাচ্ছে।

বোমা হামলার ভয়ে এবং গাজার দক্ষিণাঞ্চল ছেড়ে দেয়ার ইসরাইলি নির্দেশের কারণে রাস্তা ও জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলসহ যে যেখানে পারছে সেখানে আশ্রয় নিচ্ছে।

গাজার রাফা শহর থেকে পালিয়ে আসা ৫৫ বছর বয়সী এক নারী  জানিয়েছেন , ‘বিদ্যুত নেই, পানি নেই, ইন্টারনেট নেই। আমার মনে হচ্ছিল আমি মানবতা হারিয়ে ফেলছি।’

গত শনিবার স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাস ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এর পরপরই বর্বর ইসরাইল গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে। এই হামলা এখনো অব্যাহত আছে। এই পরিস্থিতিতে ইসরাইল গাজায় আকাশ, স্থল ও নৌ হামলা চালানোর প্রস্তৃতি নিয়েছে। একে তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ স্থল অভিযান’ হিসেবে অভিহিত করছে।

এদিকে হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহকে সমর্থনদানকারী ইরান সতর্ক করে বলেছে, এই ধরনের হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং সংঘাতের বিস্তৃতি ঘটবে না এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছে না।

অপর দিকে ইসরাইল লেবানন সীমান্তেও গত সপ্তাহে গোলাগুলির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের জন্যে ওই এলাকা বন্ধ করে দিতে বর্বর ইসরাইল বাধ্য হয়েছে।

রোববার দক্ষিণ লেবাননের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে রকেট আঘাত হানে। ইসরাইলে হিজবুল্লাহর হামলায় একজন নিহত হয়েছে বলে ইসরাইলি সেনা সূত্র নিশ্চিত করেছে।

গত সপ্তাহে লেবাননে অন্তত ১০ জন এবং ইসরাইলে দু’জন নিহত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, লেবাননে নিহতদের মধ্যে রয়টার্সের এক সাংবাদিকও রয়েছেন।

এদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট বলেছেন, উত্তরে যুদ্ধ করার কোনো আগ্রহ তার দেশের নেই। তারা এই পরিস্থিতিকে আরো তীব্র করতে চাচ্ছেন না।

ইসরাইল দেশটির দক্ষিণে মরুভূমিতে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত করে হাজার হাজার সৈন্যে একত্রিত করেছে। সৈন্যরা গাজায় প্রবেশের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছে।

ইতোমধ্যেই ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের ১১ লাখ ফিলিস্তিনি বাসিন্দাকে  দক্ষিণাঞ্চলে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অপরদিকে খান ইউনুসসহ পুরো দক্ষিণে ইসরায়েল অব্যাহত বোমা বর্ষণ করেছে।

অপরদিকে জাতিসঙ্ঘ, রেডক্রসহ বিদেশী সরকার এবং দাতা সংস্থাগুলো ফিলিস্তনিদের বাসিন্দাদের বসতি ছেড়ে যেতে ইসরাইলী নির্দেশের কঠোর সমালোচনা করেছে।

তারা বলছে, সংঘাতের প্রথম সপ্তাহেই প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি গৃহহীন হয়েছে। এই সংখ্যা আরো বহুগুন বাড়তে  পারে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে।

গাজার হাসপাতাল সমূহে হতাহতদের ক্ষনে ক্ষনে বাড়ছে। গত রোববার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বিচারে বোমা হামলায় প্রায় দশ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত ক্রসিং এবং দক্ষিণে রাফা সীমান্ত মিশর বন্ধ করে দেয়ায় গাজাবাসী কার্যত বন্ধী হয়ে পড়েছে।

এদিকে হামাসের হাতে বন্দীদের ইসরাইলিদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত তেলআবিব।

নয় মাস এবং চার বছর বয়সী শিশুদের দাঋীত্ব পালনকারী তাদের খালা ইরাত জাইলার কান্না করে বলছিলেন, আমরা তাদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে চাই। মা’সহ এসব শিশুদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে হামাস।

ফিলিস্তিনি অঞ্চলের জাতিসঙ্ঘ হিউম্যান কো অর্ডিনেটর লিন হেস্টিংস  বলেছেন, ইসরাইল জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ের সাথে গাজায় মানবিক সহায়তার বিষয়টি যুক্ত করে রেখেছে।

কোন কিছুই শর্তযুক্ত হওয়া উচিত নয় বলে তিনি তার একটি ভিডিও পোস্টে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, ইসরাইল বলছে তারা হামাসকে ধ্বংস করব, কিন্তু পরিস্থিতি বলছে তারা হামাসকে নয় গাজাকে ধ্বংস কারার কাজে জড়িত হচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, পুরো অঞ্চল এখন এক অতল এক কুপের কিনারে দাড়িয়ে রয়েছে।

সূত্র :বিবিসি, আল জাজিরা, রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস, এপি, এএফপি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × three =