আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ ইয়েমেনের স্বাধীনতাকামী হুতি সদস্যরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি নাগরিকের মালিকানায় অংশীদারত্ব থাকা একটি পণ্যবাহী জাহাজ আটক করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে ।এপি প্রকাশিত সংবাদে বলেছে, হুতিরা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারনে তারা এই জাহাজ আটক করেছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে , এটি ইরানের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের অংশ। এপির এক সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে, গত রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালের দিকে ইয়েমেনের নিকটবর্তী দক্ষিণ লোহিত সাগর থেকে “দ্য গ্যালাক্সি লিডার” নামের ওই জাহাজ আটক করা হয়।জাহাজটি যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন, পরিচালনা করছে জাপান। জাহাজটির মালিকানায় অংশীদারীত্ব রয়েছে ইসরায়েলি এক ব্যবসায়ীর। তুরস্ক থেকে জাহাজটি ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। হুতি যোদ্ধাদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি রোববার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জাহাজটি এখন হুতি যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।জাহাজে থাকা নাবিকদের পুরোপুরি নিরাপত্তা দিচ্ছেন তারা। ঐ বিবৃতিতে ইয়াহিয়া আরও বলেন, “ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে আমাদের ভাইদের ওপর চলা আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চলাতে থাকবো”।
ওই বিবৃতিতে ইসরায়েলের মালিকানাধীন জাহাজগুলোতে অন্যান্য দেশের নাবিকদের কাজ না করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ও দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আটক এই জাহাজের মালিকানা বা পরিচালনার সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি নাবিকদের মধ্যেও কোনো ইসরায়েলি নেই। জাহাজে থাকা ২৫ জন নাবিক যাঁরা ইউক্রেন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, বুলগেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
ইসরায়েলের বিবৃতিতে ইরানকে দায়ি করে আরও বলা হয়, হুতিদের দ্বারা জাহাজ আটকের পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হচ্ছে যে ইরান বিশ্বের মুক্ত নাগরিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
তবে তেহরান স্পষ্টভাবে বলেছে, জাহাজ আটকের এই ঘটনার সঙ্গে ইরান কোনোভাবে জড়িত নয়। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েল বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ তুলেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হয়েছে, জাহাজ আটকের বিষয়ে তারা অবগত। বিষয়টি তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।