আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ ই্সরাইলের নতুন কৌশলে ধ্বংসযজ্ঞে পরিনত হতে পারে গাজা উপত্যকা। যুদ্ধ বিরতির পর ইসরাইলি বাহিনী পূণরায় গাজা সীমান্তের ভবন সমূহ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। আগের হামলায় পুরো গাজা উপত্যকা টার্গেট থাকলেও এবার আরো বিধ্বংসী হচ্ছে দখলদার এই বাহিনীর হামলা। পূনঃআক্রমণে বিশেষ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
মিসরীয় সীমান্তের একটি আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে গত শুক্রবার শেষ রাতে। এতে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।এতে আহত হয়েছে আরো কয়েকজন।
এদিকে পূর্বাঞ্চলীয় খান ইউনিসে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়েছে বর্বর ইসরায়েল। এদিকে খান ইউনিস অঞ্চলের পূর্ব এলাকাগুলোতে গত শুক্রবার রাতে ইসরাইলি বিস্ফোরণ শোনা গেছে বলে সংবাদ দিয়েছে আল জাজিরা।
গত শুক্রবার শেষ রাত থেকে খান ইউনিস সিটি পরিষ্কারভাবে দেখে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে স্বক্ষম হয় সে জন্যে আকাশে আলো জ্বালিয়ে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে বর্বর ইসরাইলে।
একইভাবে নুসেরাত উদ্বাস্তু ক্যাম্পে হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা।সেখানেও নিরিহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং অপর ১০ জন আহত হয়েছে।
আল জাজিরার এক খবরে বলা হয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ‘অচলাবস্থা’ সৃষ্টি হওয়ায় মোসাদের দলকে কাতার ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পন্ন করেনি। তাদের সাথে চুক্তি ছিল, তারা সকল নারী ও শিশু বন্দীদের ছেড়ে দেবে। এ সংক্রান্ত একটি তালিকাও হামাসের কাছে দেয়া হয়েছিল। এটি অনুমোদনও তারা দিয়েছিল।
ওই বিবৃতিতে, ‘মোসাদ প্রধান সিআইএ প্রধান, মিসরের গোয়েন্দা মন্ত্রী এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
যাদের অসাধারণ প্রচেষ্টায় গাজা উপত্যকা থেকে ৮৪ ইসরাইলি নারী ও শিশু এবং ২৪ জন বিদেশী নাগরিক মুক্তি পেয়েছেন।’
এর আগে শনিবারই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে কাতারে যাচ্ছে মোসাদের একটি দল। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মোসাদের সদস্যদের ফিরে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়।
মোসাদ সদস্যদের ফিরিয়ে আনায় আপাতত যুদ্ধবিরতির সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক মহলের অনেকেই।