রাজনৈতিক সংকটে মধ্যবিত্তরা দিশেহারা

0
281

দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ: সংকটের দিকে যাচ্ছে। ক্ষতাসীন দল ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ। এদিকে বিএনপি সহ সমমনা দলগুলো ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠছে। দীর্ঘ পনের বছর ধরে বিএনপি অন্দোলনের নামে সময় পার করেছে। প্রতি বছর রমযান মাস এলে বলে রোজার পর আন্দোলন। রোজা পার হলে বলে কোরবানি ঈদের পর আন্দোলন। ঈদ পার হলে বলে পুজার পর আন্দোলন। এভাবে বছরের পর বছর আন্দোলনের নামে পনের বছর পার করেছে বিএনপি অথচ দলটির সফলতা খুবই কম। আন্দোলন নিয়ে বিএনপির এধরনের খেলা দেখে দলটির প্রতি যাদের আস্থা ছিল তারাও দলের নেতা কর্মীদেরকে আর বিশ্বাস করতে পারছে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুধু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলেছেন। দলটি এ পর্যন্ত বিভাগীয় শহরে একবার বিভাগীয় সমাবেশ করে, আবার রোডমার্চ করে। এরপর পদযাত্রা করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বলছেন বিএনপির এধরনের আন্দোলন ক্ষমতাসীন সরকারকে সামান্যতও নাড়া দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমূল বিএনপি সরকারের সাথে যোগ দিয়ে ফেলছে।

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতারা এই তৃণমূল বিএনপি গঠন করে সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে নির্বাচন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

অন্যান্য দলগুলোকে নির্বাচনে আসার জন্য সরকার থেকে আহবান করা হচ্ছে। সরকার পতনের একদফা দবি আদায়ে সারা দেশে রেল নৌ ও সড়ক অবরোধ চলছে। কিছু যানবাহনে অগ্নি সংযোগ করা হচ্ছে। এই অগি্না সংযোগের সাথে কারা জড়িত তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ক্ষমতাসীন দল দুষছে বিএনপিকে।

বিএনপি বলছে সরকার দলীয় লোকরা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে বিএনপির ঘাঢ়ে দোষ চাপাচ্ছে। আসলে কারা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে তা দেশবাসি ভলভাবে জানে। চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে মধ্যত্তিরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে তারা দিশেহারা।

সেই সাথে অবরোধ ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে তাদের অসহায়ত্ব আরও বেড়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এক কাতারে এসে একটি শান্তিপূর্ন সমঝোতায় আসতে হবে। নইলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতেই থাকবে যার কোন সমাধান কোন দলই দিতে পারবে না।   

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × three =