নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাড্ডায় পল্লী ফুড প্রোডাক্ট কারখানার নামে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বাড়িওয়ালার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে কথিত কারখানার মালিক আব্দুল করিম লিটন।
অর্থ আত্মসাতের এসব ঘটনা উল্লেখ করে সম্প্রতি বাড্ডা থানা ও স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীদের একজন হাজী মোঃ সুরুজ্জামান জানান, কথিত ব্যবসায়ী লিটন পল্লীফুড কারখানা করার জন্য ২০০৮ সালে তার মালিকানাধীন একটি জমি ১০ বছরের চুক্তিতে ভাড়া নেয়। ওই কারখানা দেখিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ক্ষুদ্রব্যবসায়ীর কাছ থেকে ব্যবসার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
চুক্তি অনুযায়ী জমির মালিক সুরুজ্জামানের ভাড়াও নিয়মিত পরিশোধ করেনি লিটন। উল্টো তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে নগদ ১২ লাখ টাকা ধার নেয়। একপর্যায়ে ২০১৮ সালে ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও বকেয়া টাকা পরিশোধ না করে টালবাহানা শুরু করে।
এভাবে ভাড়া বাবদ ১৮ লাখ টাকা বকেয়া রাখে লিটন। ভাড়া চাইতে গেলে এবং কারখানা সরিয়ে নিতে বললে উল্টো জমির মালিক মোঃ সুরুজ্জামানকে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিতে থাকে সে।
সর্বশেষ স্থানীয় কাউন্সিলরের মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করলেও এতে সাড়া না দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় কথিত এই ব্যবসায়ী ।
এ বিষয় অবহিত করে গত ২ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিক মোঃ সুরুজ্জামান। পাওনা টাকা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি।
এদিকে ব্যবসার নামে নিয়ে আত্মসাত করা ১০ লাখ টাকা ফেরত চেয়ে লিটনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আরেক ভুক্তভোগী মোঃ রাহাত। তিনি জানান, স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে টাকা দেয়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে ব্যাংক চেক দিলেও সেখানে কোনো টাকা রাখেনি লিটন।
এছাড়াও ব্যবসার নামে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর, মোজাম্মেল , মোঃ আমিনুল ইসলাম ,মোঃশহিদুল্লা সবুজ, মোঃ সাদ্দাম মিয়া, মোঃ সোহেল মিয়া,
জাহিদ মিয়া, আলিম ও জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে কথিত ব্যবসায়ী লিটন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।