সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিস্থিতি কখন কী হয় বলা যায় না। সামনে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন।
কী হবে সেটি বোঝা যাচ্ছে না। বিএনপিকে পাত্তা দিচ্ছি না এমন না। কার অবস্থা কখন কী হয় বলা যায় না। সবকিছু
মিলে ২০২৪ সালে কী হচ্ছে বলা যাচ্ছে না।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কথা বেশি না বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে রাতারাতি বাজার
নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বিশ্ব পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছুনির্ভর করে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতা করতে চায় না বাংলাদেশ। ভিন্ন কৌশলে রূপপুরের জন্য বেশকিছুজিনিস আনা
হয়েছে যাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতা না হয়। পরিস্থিতি কখন কী হয় বলা যায় না । যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কী হবে সেটা
বোঝা যাচ্ছে না। সবকিছুমিলে ২০২৪ সালে কী রেজাল্ট হচ্ছে তা বলা যাচ্ছে না।
মেট্রোরেলে ভিড় প্রসঙ্গে কাদের বলেন, মেট্রো তো বাংলাদেশ রেলওয়ে না যে যখন তখন বগি বাড়াব। এটা তো একটা
প্রযুক্তিগত বিষয়। পৃথিবীর কোথাও ৫ থেকে ৬টির বেশি বগি মেট্রোরেলে নাই। তবে চাহিদা যেহেতুবেড়েছে ১০ মিনিট
থেকে ৮ মিনিট পরপর মেট্রো দেওয়া যায় কি না পরিকল্পনা চলছে।
বিএনপির ১৩ নেতা জেলে মারা গেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তার প্রমাণ দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটি জানা
নেই। কে কখন মারা গেছে, সেই তথ্য কোথায়।
বর্তমান মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়ছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী
বলতে পারে ন। তবে সময়মতো কিছু, যেমন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়—এগুলোয় কোনো না কোনো
সময় মন্ত্রী আসবেন। প্রসঙ্গত, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে আলাদা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নেই।
এগুলোর দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতে রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের মনে করেন, সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের পর নির্বাচিত নারীদের মধ্য থেকে মন্ত্রী হতে পারেন। সেই
হিসেবে এরপরে চিন্তাভাবনা করা হবে বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারে এটা করা হবে।