বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করলেন অর্ধশতাধিক বিদেশি চিকিৎসক

0
81

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে বিদেশি চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক চমৎকার উপলক্ষ এনে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) ও তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশন। সংস্থা দুটির যৌথ আয়োজনে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হলো “একবিংশ শতাব্দীতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি, গবেষণা ও উদ্ভাবন” বিষয়ক সম্মেলন। যেখানে ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের ৫০ জনের বেশি চিকিৎসক বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা, উদ্ভাবন ও নতুন নতুন গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন।

এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসাখাতে নতুন এক যুগের সূচনা হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একসঙ্গে এতোজন বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেশে আনার ঘটনাকেও প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি চিকিৎসকরা। এমন আয়োজন ভবিষ্যতে বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কাজের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলেও মনে করেন তারা।

বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব চিকিৎসকরা এক সপ্তাহ বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এ সময় তারা সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন বলেও সম্মেলনে জানান আয়োজকরা।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ফিলিপ মিনাশে, প্রফেসর কুমারন দিভা, প্রফেসর মতিহাস কোয়েপ, প্রফেসর রনিট প্রেসলার এবং প্রফেসর ম্যাসিমিলিয়ানো সেরাফিনো।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়; অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এবং অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, চেয়ারম্যান বাংলাদেম মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল।

নিজ নিজ বক্তব্যে অতিথিরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও নতুন গবেষণার বিষয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে বিদেশিদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিপিএমসিএ এবং তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান।

আয়োজন প্রসঙ্গে  বিপিএমসিএ-এর প্রেসিডেন্ট ডা. এম এ মুবিন খান বলেন, “আমরা সবসময় চাই বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতের উন্নতি। দেশের চিকিৎসরা যেন দেশে বসেই উন্নত সব টেকনোলজি, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ে জানতে পারে সেজন্যই আমাদের এই আয়োজন। ভবিষ্যতেও এরকম আয়োজন অব্যাহত থাকবে। পুরো আয়োজনে সহযোগিতার জন্য আমরা তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের কাছে কৃতজ্ঞ।”

আয়োজনের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 + 4 =