ভোটারদের আঙুলের ছাপে বিপত্তি

0
70

জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ভো টগ্রহণ চলছে। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডেবারোটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ
চলছে।
তবে ইভিএমে ভোটে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। ইভিএম মেশিনে কয়েকজনের আঙুলের ছাপ ঠিকমতো না ওঠায় তারা
ভোট দিতে সমস্যায় পড়েন।
সকাল থেকেই ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। নারী ভোটারের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য।
বকশীগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের চারটি বুথ ঘুরে দেখা যায়, প্রথম পঞ্চাশ মিনিটে একটি বুথে
সর্বোচ্চ নয়টি ভোট পড়েছে। অন্য তিনটি বুথে ছয়টি, সাতটি ও চারটি ভোট সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণে ধীরগতি চলছে। ইভিএমে ত্রুটি লক্ষ্য করা গেছে।
পোলিং অফিসার মো. শাহজাহান জানান, আঙুলের ছাপ সহজে না নেওয়ায়, কারও কারও দুই হাতের চারটি আঙুল
ব্যবহার করতে হচ্ছে। কেউ কেউ সঠিক বোতামে চাপ দিতে পারছে না। এসব কারণে ভোটগ্রহণে দেরি হচ্ছে।
জগ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম সওদাগর ভোট দিতে যান নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। সকাল
আটটায় প্রথম ভোট দিতে গিয়ে তারও দেরি হয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, ইভিএম মেশিনের জন্য সামান্য দেরি হলেও ভোটগ্রহণ চলছে ভালোভাবে।
বকশীগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দেখা যায়, সুরুজা নামের একজন ভোটারের দুই হাতের
চারটি আঙুল ব্যবহার করার পরও এনআইডি দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হয়েছে।
শিরিনা নামের একজন ভোটারের আঙুলের ছাপ নিতেও একই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বকশীগঞ্জ পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ
শানিয়াজ্জামান তালুকদারকে ফোন করলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen + 1 =